Aajbikel

UNESCO-র ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাচ্ছে বিশ্বভারতী, বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

 | 
ছাতিমতলা বিশ্বভারতী

 বোলপুর: শান্তিনিকেতনে খুশির হাওয়া। পঁচিশে বৈশাখের পরের দিনই মিলল সুখবর। আনন্দের খবর রাজ্যের কাছেও৷ কারণ পশ্চিমবঙ্গের মুকুটে জুড়ল নয়া পালক। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের শান্তিনিকেতন তথা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবার অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায়। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি আরবের রিয়াধে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে এর ঘোষণা করা হবে। সারা বিশ্বের মধ্যে একমাত্র ‘লিভিং ইউনিভার্সিটি’ হিসেবে এই তকমা পাবে বিশ্বভারতী। বুধবার টুইট করে এমনই খবর জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি। এই খবর আসার পরেই সন্ধেবেলায় বিশ্বভারতীর কর্মী পরিষদের তরফে মোমবাতির আলোয় সাজিয়ে তোলে সেই বিখ্যাত ছাতিমতলা। সোশ্যাল মিডিয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে শুরু করেন বিশ্বভারতীর বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়ারা। 

এদিন রেড্ডি টুইট করে বলেন, ‘‘গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে সারা দেশের জন্য সুখবর। শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় রাখার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।’’ জানা গিয়েছে, এই প্রস্তাব দিয়েছে ইউনেস্কোর উপদেষ্টা সংগঠন ইকোমস। রেড্ডি জানিয়েছেন, বিশ্বভারতী আনুষ্ঠানিক ভাবে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তালিকায় ঠাঁই পাচ্ছে কি না তা জানা যাবে সেপ্টেম্বর মাসে৷  এ জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ 

এই কৃতিত্বের ভাগীদার অবশ্যই আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা এএসআই। কারণ তারাই বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য ও ভবনগুলি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে আসছে৷ শান্তিনিকেতনে গুরুদেবের ব্যবহৃত বাসভবন ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যগুলি আজও পূর্বের অবস্থাতেই অক্ষত রয়েছে। সমানভাবে তা ব্যবহার করা হচ্ছে। শান্তিনিকেতনে যে ঐতিহাসিক গুরুত্ব লুকিয়ে রয়েছে, সে কথা এএসআই-ই সর্বপ্রথম কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তুলে ধরে। এরপরেই শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে তালিকাভুক্ত করার জন্য ইউনেস্কোর কাছে আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই আবেদন মনেই এবার ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের  স্বীকৃতি পেতে চলেছে রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভারতী। যদিও রেডিড গোটা কর্মকাণ্ডের কৃতিত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। 

কেন্দ্রের আবেদনের ভিত্তিতে গত বছর ২৫ অক্টোবর শান্তিনিকেতন পরিদর্শনে এসেছিলেন এএসআই এবং ইউনেস্কোর উপদেষ্টা ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অন মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটস (আইসিওএমওএস)-এর প্রতিনিধিরা। বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের পর তাঁরা ইউনেস্কোর কাছে তাঁদের মতামত ও রিপোর্ট জমা দেন। সম্প্রতি এএসআইয়ের প্রতিনিধি দল ফের শান্তিনিকেতন পরিদর্শনে আসেন। এরপর রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আইসিওএমওএস শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকাভুক্ত করতে ইউনেস্কোকে সুপারিশ জানায়। সেই খবরই টুইট করে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

Around The Web

Trending News

You May like