কলকাতা: নারদা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং অন্য আরেক মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় সহ বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। নিজাম প্যালেসে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেই প্রেক্ষিতে এখন সিবিআই দপ্তরের বাইরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী এবং সমর্থকরা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়েছে যে তাদের কাউকে শারীরিকভাবে আদালতে উপস্থিত করা যাবে না সেই প্রেক্ষিতে ভার্চুয়াল হেয়ারিং করা হবে বলে জানা গিয়েছে। হেভিওয়েট এই চার জন নেতাকে সশরীরে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে উপস্থিত থাকতে হবে না। আদালতে ভাচুয়াল হেয়ারিং করা হবে। নিজাম প্যালেসর বাইরে যা পরিস্থিতি এবং করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এই ভার্চুয়াল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত। কাগজপত্র জমা দেবে সিবিআই।
এই মুহূর্তে নিজাম প্যালেসের বাইরের পরিস্থিতি ব্যাপক উত্তেজনা মূলক। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী এবং সমর্থকরা দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন পুলিশের সঙ্গে। ঢিল ছোড়া হচ্ছে সিবিআই দপ্তরের উদ্দেশ্যে, এবং স্লোগান দেওয়া হচ্ছে ফিরহাদ হাকিমের নামে। নারদ মামলায় এই গ্রেপ্তারি ঘিরে ক্রমশ উত্তেজনার পারদ বাড়ছে শহরে। এদিকে এ দিন সকালেই তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী এবং বিধায়করা গ্রেপ্তার হওয়ার পর নিজাম প্যালেসে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তৎকালীন চার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নারদা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল সিবিআই সঙ্গে সঙ্গেই মামলা রুজু করেছিল তাদের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী। সেই প্রেক্ষিতেই আজ চার্জশিট জমা পড়েছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশ মতো এই কাজ করেছে সিবিআই। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, বাংলার নির্বাচনের রায় মানতে পারছে না বিজেপি। সেই কারণে প্রতিহিংসার জন্য এই ঘটনা ঘটাচ্ছে।