অসুস্থ-গুরুতর অসুস্থ থেকে আত্মহত্যা! প্ল্যান করেই কি ফোন? প্রকাশ্যে হাসপাতালের ফোনকল

কলকাতা: আরজি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে প্রথম থেকেই উঠে এসেছিল  একটি ফোন কলের প্রসঙ্গ৷ যে কলটি হাসপাতালের তরফে গিয়েছিল নির্যাতিতার বাড়িতে৷…

rg kar phn

কলকাতা: আরজি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে প্রথম থেকেই উঠে এসেছিল  একটি ফোন কলের প্রসঙ্গ৷ যে কলটি হাসপাতালের তরফে গিয়েছিল নির্যাতিতার বাড়িতে৷ প্রথমে ফোনে বলা হয়েছিল ওই তরুণী চিকিৎসক অসুস্থ৷ তাঁর বাবা-মা যেন তাড়াতাড়ি হাসপাতালে চলে আসেন৷ দ্বিতীয়বার ফোনে বলা হয়, ‘অবস্থা খুবই খারাপ। আপনারা চলে আসুন৷’ তৃতীয় বার যখন ফোন করা হয়, তখন বলা হয়, ‘‘উনি হয়তো সুইসাইড করেছেন।’’ বৃহস্পতিবার সেই ফোনকলের অডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছে৷ জানা গিয়েছে, হাসপাতাল থেকে ওই ফোনটি করেছিলেন ডেপুটি সুপার৷ যদিও এই ফোন কলের সত্যতা যাচাই করেনি আজবিকেল.কম৷ ঠিক কী কথা হয়েছিল ৯ অগাস্ট?

প্রথম অডিয়োতে যা শোনা যায়-

নিহত চিকিৎসকের বাবা: হ্যালো

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: …(নির্যাতিতার নাম উল্লেখ করে) বাড়ির লোক বলছেন?

নির্যাতিতার বাবা: কে বলছেন?

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: ওর শরীরটা খুব খারাপ। আপনারা আসতে পারবেন ইমিডিয়েট?

নির্যাতিতার বাবা: কেন? কী হয়েছে? সেটা তো বলবেন !

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: ওর শরীরটা খারাপ। আপনারা একটিু আসতে পারবেন?

নির্যাতিতার বাবা: কী হয়েছে কী সেটা বলুন না৷

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: সেটা তো আপনারা হাসপাতালে এলে ডাক্তাররা বলবে। আমরা আপনার নম্বর জোগাড় করে খবরটা জানালাম। বাড়ির লোক হিসাবে তাড়াতাড়ি আসুন।

নির্যাতিতার বাবা: কী হয়েছে সেটা বলো না তুমি৷

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: পেসেন্টের শরীর খারাপ। আমরা হাসপাতালে ভর্তি করেছি৷ বাকিটা আপনারা এলে ডাক্তাররা বলবে।

নির্যাতিতার মা: ওর কী জ্বর হয়েছে?

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: আপনারা তাড়িতাড়ি আসুন। যা বলার ডাক্তাররাই বলবেন।

নির্যাতিতার বাবা: কেন, অবস্থা খুব খারাপ?

দ্বিতীয় অডিয়ো

নির্যাতিতার বাবা: কী হয়েছে বলো না

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: ওঁর অবস্থা কি খুবই খারাপ?আপনারা তাড়াতাড়ি আসুন।

তিলোত্তমার বাবা: আপনি কে বলছেন?

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: আমি অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার বলছি। ডাক্তার বলছি না।

তিলোত্তমার বাবা: ডাক্তার নেই ওইখানে কোনও?

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: আপনার মেয়েকে আমরা এমার্জেন্সিতে এনেছি। আপনাদের বলছি তাড়াতাড়ি আসার জন্য।

তিলোত্তমার মা: ওর কী হয়েছিল কী? ও তো ডিউটিতে ছিল

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: আপনারা জলদি চলে আসুন। যত তাড়াতাড়ি পারবেন

তৃতীয় অডিয়ো

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: শুনুন আপনাকে তখন বারবার বলছিলাম…ব্যাপারটা হচ্ছে, আপনার মেয়ে হয়তো সুইসাইড করেছে বা মারা গিয়েছেন। পুলিশ রয়েছে। আমরা হাসপাতালে সবার সামনে রয়েছি। আপনারা যত তাড়াতাড়ি পারবেন চলে আসুন।

প্রতিটি ফোন করে ধীরে ধীরে উত্তেজনা বাড়ানো নয়৷ প্রথন ফোনে যতটা নিরুত্তাপ ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার, তৃতীয় ফোনে তেমন নয়৷ ধরা পড়ে উদ্বেগ৷ তবে কি পুরো প্লটটাই সাজানো হয়েছিল৷ ঘটনাকে আত্মহত্যার রূপ দিতে চেয়েছিলেন আরজি করের কর্তার? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই৷

xyz