গঙ্গার জলে প্লাবিত গ্রাম, উঁচুস্থানে আশ্রয় নিয়েছেন দুর্গতরা! দেখা নেই প্রশাসনের

গঙ্গার জলে প্লাবিত গ্রাম, উঁচুস্থানে আশ্রয় নিয়েছেন দুর্গতরা! দেখা নেই প্রশাসনের

 

মালদহ:  চূড়ান্ত বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গা। প্রবল জলস্তরে ইতিমধ্যেই প্লাবিত মালদহের মানিকচকের বিস্তীর্ণ এলাকা৷ জল যন্ত্রণায় কাবু শতাধিক গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার। অথচ দেখা নেই প্রশাসনের৷ এমনই অভিযোগ দুর্গত পরিবারগুলির। ফলে প্রাণ বাঁচাতে নিজেদের মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে উঁচুস্থানে আশ্রয় নিয়েছেন দুর্গতরা৷ তাঁদের একটাই আকুতি, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিরা।

মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জোৎপাট্টা, রবি দাস পাড়া, রামনগর এই সমস্ত গ্রাম বর্তমানে জলের তলায়। গঙ্গার জল ঢুকে ভাসিয়ে দিয়েছে রাস্তাঘাট থেকে বাড়ি৷ অসহায় পরিবারগুলি বাড়িঘর ছেড়ে নিজেদের সন্তান শিশুদের নিয়ে উঁচু স্থানের দিকে ছুটে চলেছে। রাস্তার ওপরে ত্রিপলের নিচেই দিন গুজরান করছেন তাড়া। বাড়ির মূল্যবান সামগ্রী আসবাবপত্র নিয়ে এভাবে জীবনযুদ্ধ চালাচ্ছে গ্রামের পর গ্রামের হাজার হাজার পরিবার।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,গঙ্গার বিপদসীমা হল ২৪.৬৯ মিটার এবং চূড়ান্ত বিপদ সীমা হল ২৫.৩০ মিটার। কিন্তু বর্তমানে গঙ্গার জল জলস্তর ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় চূড়ান্ত বিপদসীমা ২৫.৩০ মিটার জলস্তর ছুঁয়ে ফেলেছে গঙ্গা। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের তরফে লাল সর্তকতা জারি করা হলেও প্রয়োজনীয় কোনও সহযোগিতার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ৷

জল যন্ত্রণায় ভুক্তভোগী বাসিন্দারা জানান, গত কয়েকদিন ধরে গোটা এলাকা গঙ্গার জলে ভাসছে। তবু কেউ ঘুরে তাকাতেও আসেনি এলাকাগুলিতে। পরিবারের সমস্ত সদস্যদের নিয়ে কোথায় যাব কোথায় আশ্রয় নিব তা নিয়েই চরম দুর্দশা জলবন্দি পরিবারগুলির। প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। বহু পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানের ত্রিপল এর নিচে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু তাদের দাবি ত্রাণ সামগ্রী কিছু এখন না দিলেও অন্ততপক্ষে প্রশাসনের উচিত শৌচাগার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করার। কিন্তু দুর্ভাগ্য কোন কারোরই দেখা নেই। কোনরকম ত্রাণ সামগ্রীও পৌঁছায়নি এলাকায়। ফলে প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন জল যন্ত্রণায় কাতর পরিবারগুলির।

যদিও ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জলবন্দি পরিবারগুলোর জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা। উঁচু স্থানে যাতে আশ্রয় নিতে পারে সেই লক্ষ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সমস্ত বিষয়ের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মতই দ্রুত সরকারিভাবে সহযোগিতা পৌঁছানো হবে জলবন্দি পরিবারগুলিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 10 =