নিজস্ব সংবাদদাতা, সিউড়ি: মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের বার্তা দিতে এসে এলাকাবাসীদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন বিধায়ক। উত্তর না দিতে পেরে চলে গেলেন বিধায়ক৷ এমনই ঘটনা ঘটেছে সিউড়িতে৷ বুধবার সিউড়ি ২ ব্লকের কোমা গ্রাম পঞ্চায়েতের গাংটে গ্রামে বঙ্গধ্বনি কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন সাঁইথিয়ার বিধায়ক নীলাবতী সাহা। মমতা সরকারের উন্নয়নের খতিয়ানের তালিকা বিলি করছিলেন বাড়ি বাড়ি৷ তবে সেইসময় বেশ কিছু গ্রামবাসী নীলাবতী দেবীকে বলেন, তাদের বাড়ির ভিতর ঢুকে সেখানকার দুরাবস্থা যাতে দেখে যেতে৷ আর তাতেই কোনও জবাব না দিতে পেরে বেকাদায় পড়ে যান নীলাবতী দেবী৷
গ্রামের বিষহরি মন্দির থেকে শুরু হয়েছিল সেই কর্মসূচি। কিন্তু গ্রামের বৈদ্যপাড়া যেতেই হঠাৎ ঘটে গেল ছন্দপতন। সংশ্লিষ্ট গ্রামের বেশ কিছু মানুষজন সরকারি প্রকল্পে বাড়ি না পাওয়া নিয়ে একে একে প্রশ্ন করলেন বিধায়ককে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ বাম আমলেও তারা বঞ্চিত হয়েছেন। এখনো তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রয়োজন নেই অথচ গ্রামের অনেক মানুষ জন তারা সরকারি প্রকল্পের বাড়ি ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে কিন্তু যারা প্রকৃত প্রাপক তারা এখনো পর্যন্ত বঞ্চিত। বিধায়ককে কাছে পেতে বঞ্চিত কিছু মানুষজন তাদের অনুন্নয়নের বিষয়টি জানাতে চান। যদিও তাদের দাবি, গুরুত্বসহকারে বিধায়ক বিষয়টি দেখেননি, সঙ্গে থাকা দলের কর্মী ও স্থানীয় নেতৃত্বরা তাকে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সরিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছিল।
যদি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক নীলাবতী সাহা৷ তাঁর কথায়, অনেকজন বাড়ি পেয়েছেন৷ যাদের তালিকায় নাম নেই, তারা পাননি৷ ভোটের আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে উন্নয়নের প্রচার৷ আর তা করতে গিয়েই বেকাদায় পড়লেন বিধায়ক৷ যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে৷ তাহলে কী সত্যিই এখনও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে গ্রামবাংলার বহু মানুষ? উঠছে প্রশ্ন৷