নিজস্ব প্রতিনিধি, বালুরঘাট: করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বীমা সহ সান্মানিক বৃদ্ধির আবেদন জানালেন সারা বাংলা গ্রামীণ সম্পদ সংগঠনের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কর্মীরা৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত দপ্তর অধীনস্থ গ্রামীণ সম্পদ শাখার অধীনে গোটা রাজ্যে নিযুক্ত হওয়া প্রায় ২৫ হাজার ৪০ জন কর্মী ২০১৪ সালে কাজ শুরু করেন। যাদের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এই কর্মীদের সংখ্যা ৪৩৬ জন।
গ্রামীণ সম্পদ কর্মী সংগঠনের অভিযোগ বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে তাদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পোশাকের ব্যবস্থা করা হয়নি। এমনকি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের জন্য কোনো স্বাস্থ্য বীমারও ব্যবস্থা করা হয়নি। এর আগেও সান্মানিক বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে একাধিকবার রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের দারস্থ হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের আবেদনে সাড়া মেলেনি। যদিও অল বেঙ্গল সোশ্যাল অডিট ভিলেজ রিসোর্স পার্সন-এর সাধারন সম্পাদক ধনঞ্জয় চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘আমাদের রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত মানবিক। আমরা দেখেছি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সিভিক থেকে শুরু করে আশা কর্মী সকলেরই বেতন বৃদ্ধি করেছেন তিনি। আমরা চাইছি আমাদের কর্মীদের দুঃখ দুর্দশা দূর করার ক্ষেত্রেও মুখ্যমন্ত্রী সদয় হবেন এবং আমাদেরকে খুব শীঘ্রই ন্যায্য সান্মানিক প্রদান করবেন।’’
প্রসঙ্গত,দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সহ রাজ্যের এই গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা ২০১৪ সাল থেকেই গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে এম.জি.এন.আর.ই.জি.এস, এন.এস.এ.পি, পি.এম.এ.ওয়াই, এন.এফ.এস.এ-র মতন সরকারি প্রকল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত। সেই সময় থেকে এই সমস্ত প্রকল্পে নিযুক্ত কর্মীরা ১৫ দিনে সোশ্যাল অডিট রিপোর্ট প্রস্তুত করে গ্রাম পঞ্চায়েতে জমা দেওয়ার কাজে নিযুক্ত ছিলেন। এরপর ২০১৯ সালে রাজ্য সরকার এই কর্মীদের। ভি.বি.ডি.সি.পি প্রকল্পে কাজেও নিযুক্ত করে। বর্তমানে তাঁরা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে দিন প্রতি সান্মানিক ১৭৫ টাকা হিসাবে বছরে ২৪০ দিনের জন্য কাজে নিযুক্ত রয়েছেন।