নন্দীগ্রাম: পঞ্চায়েত ভোটের আবহে অন্যান্য বহু এলাকার মতো উত্তপ্ত হয়েছিল নন্দীগ্রামও। সেখানে হিংসার কারণে জখম হন ১১ জন তৃণমূল কর্মী। ইতিমধ্যেই এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আহতদের সঙ্গে দেখা করে ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির কথা বলে কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। সেই নির্দেশ কার্যকর হল কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। নন্দীগ্রামে গ্রেফতার ভিলেজ পুলিশ সঞ্জয় ওরফে রাজু গুড়িয়া সহ আরও ২ জন বিজেপি কর্মী।
ধৃত ভিলেজ পুলিশ নিজেও এলাকায় বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত। নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকের ভেকুটিয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা এই তিনজনের বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর এবং মারধরের অভিযোগ আছে। রাজ্যের শাসকদলের কর্মীদের দাবি, পুলিশি তকমা থাকার কারণে রাজু এলাকায় দম্ভ নিয়ে ঘুরত। তাঁর নির্দেশেই তৃণমূলের ওপর হামলা করা হয়েছে। গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দাও জানিয়েছেন যে, এলাকায় রাজুর দৌরাত্ম্য ছিল। ঘাসফুল শিবির দাবি করেছে, ভোট গণনার আগের রাতে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের রাস্তায় ফেলে মারধরের ঘটনাতে তিনি সরাসরি যুক্ত।
যদিও বিজেপি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করে জানিয়েছে, যাতে তারা পঞ্চায়েত বোর্ড গড়তে না পারে সেই কারণেই এমন গ্রেফতারি। ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে তৃণমূল এলাকায় বিজেপি কর্মীদের কার্যত বন্দি করে রাখতে চাইছে। কিন্তু এভাবে তাদের আটকে রাখা যাবে না, লড়াই চলবে।