‘উপাচার্যরা তৃণমূল নেতাদের ভৃত্য’, ফের বিস্ফোরক বিজেপি নেতা সায়ন্তন

‘উপাচার্যরা তৃণমূল নেতাদের ভৃত্য’, ফের বিস্ফোরক বিজেপি নেতা সায়ন্তন

 

শ্রীরামপুর: শেওরাফুলি বাজার আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হবে, এই দাবি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন করছিল বিজেপি। শনিবার এই বিষয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে শেওড়াফুলি থানায় একটি ডেপুটেশন জমা দিতে এসেছিলেন বিজেপি’র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু৷ সেখানে শিক্ষানীতির প্রসঙ্গ উঠলে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি৷ রাজ্যের উপাচার্যদের তৃণমূলের ‘গৃহভৃত্য’ বলে মন্তব্য করেন সায়ন্তন বসু৷

আরও পড়ুন- ২০ বছর বয়সে মাথায় টাক! অবসাদে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী যুবকের

 

শিক্ষানীতি নিয়ে রাজ্যে যে বিরোধিতার ঝড় উঠেছে সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাজ্যের উপাচার্যদের ‘গৃহভৃত্য’ বলে বেফাঁস মন্তব্য করেন বিজেপি’র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক৷ সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘কোনও শিক্ষাবিদ বা শিক্ষক মণ্ডলী বলেননি যে কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতি ভ্রান্ত৷ আসলে পশ্চিমবঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ উপাচার্যই তৃণমূল কংগ্রেসের গৃহভৃত্যের কাজ করে৷ তাঁদের কাজ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের জামা-কাপড় ধুয়ে দেওয়া৷ তার জন্যই তাঁরা উপাচার্জ হয়েছেন৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে কোথাও গণতন্ত্র নেই৷ বিজেপি নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, বিজেপির মিছিল মিটিং আটকে দেওয়া হচ্ছে। তেলিনিপাড়ায় আমি যেতে পারিনি৷ শুধু হুগলী জেলা নয়, পশ্চিমবঙ্গের এমন কোনও জেলা নেই যেখানে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে পুলিশ আর সমাজ বিরোধীদের দিয়ে বন্ধ করা হচ্ছে না৷’’ মমতা বন্দ্যোপধ্যায়কে বিঁধে সায়ন্তনের বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল সরকার মানুষকে ভয় পায়, গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভয় পায়৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনকে ভয় পান৷’’ 

আরও পড়ুন- ফিরিয়ে দিতে হবে ‘বাড়তি বিলে’র টাকা, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ কমিশনের

প্রসঙ্গত, এদিন সায়ন্তন বসু আসার কথা জানতে পেরে শেওরাফুলিতে জমায়েত করেছিলেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। সেই জমায়েত থেকে কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ। সেই ঘটনার প্রতিবাদে সায়ন্তন বসুর নেতৃত্বে শেওরাফুলি ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতা কর্মীরা। আটক করা বিজেপি কর্মীদের অবিলম্বে ছাড়া না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, ‘‘ বিজেপি কর্মীদের ছাড়া না হলে জেলার নেতৃত্ব ও কার্যকর্তারা শ্রীরামপুর থানার সামনে ধর্নায় বসবে৷’’  

বিজেপি কর্মীদের কথায়, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শেওড়াফুলি ফাঁড়িতে ডেপুটেশন দিতাম৷ এই ডেপুটেশনে অংশগ্রহণ করতেন রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সায়ম্তন বসু, জেলার সভাপতি শ্যামল ঘোষ৷ কিন্তু শেওড়াফুলি আর শ্রীরামপুর থানার পুলিশ বিজেপি কর্মীদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 5 =