কলকাতা: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ত্রাণ তহবিল গড়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজের সর্বস্তরেই সাধ্যমতো সাহায্য চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনার গ্রাসে যখন গোটা বিশ্ব আতঙ্কিত, সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। তাই ত্রাণ তহবিলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল প্রাণীসম্পদ বিকাশ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের দল। এছাড়াও আমেরিকার এক চিড়িয়াখানায় বাঘিনীর শরীরে কোভিড ১৯ সংক্রমণের প্রসঙ্গ তুলে প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে কাজ করতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছে তারা।
কেউ যদি সামান্য টাকাও সাহায্য করতে চান, সম্মানের সঙ্গে নেওয়া হবে সেই সাহায্য, এমনই বলতে শোনা গেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে। এই অবস্থায় প্রাণীসম্পদ বিকাশ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরা দু'বারে ১০ হাজার টাকা সাহায্য করেছেন ত্রাণ তহবিলে। গত শুক্রবার প্রথমে ৮,০০১ টাকা এবং মঙ্গলবার ২ হাজার টাকা ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট এমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ডে দেন তাঁরা। তবে শুধু অর্থ সাহায্যই নয়, শারীরিকভাবে উপস্থিত থেকেও কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দিনকয়েক আগে নিউইয়র্কের এক চিড়িয়াখানায় একটি বাঘিনীর শরীরে করোনা সংক্রমণের প্রসঙ্গ তুলে তাঁরা একজোট হয়ে এলাকায় ঘুরে ঘুরেও কাজ করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে দলটি।
গ্রুপের সদস্য সুমন মণ্ডল বলেন, 'আমরা পশুর প্রাথমিক চিকিত্সার সঙ্গে যুক্ত থাকি। তাই মানুষের ক্ষেত্রে কোভিড ১৯ মহামারীরর মতো মুরগীর বার্ড ফ্লু ও গবাদি পশুর ক্ষেত্রে এফএমডি ভাইরাস রোগও মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। তাছাড়া সম্প্রতি সারা বিশ্বে আক্রান্ত মানুষের পাশাপাশি নিউইয়র্কের চিড়িয়াখানায় একটি বাঘের শরীরেও করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেও ছড়িয়েছে করোনা আতঙ্ক। এইসময়ে আমরা প্রাণীসম্পদ বিকাশ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীরা ত্রাণ তহবিলে সামান্য সাহায্য করতে পেরে খুবই আনন্দিত। ভবিষ্যতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যদি বলেন, তাহলে আমরা এই সংকটময় পরিস্থিতিতে এলাকায় ঘুরে ঘুরে সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত রয়েছি।' এছাড়াও জনগণের উদ্দেশ্যে লকডাউন মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।