রামজানের সন্ধ্যায় বাংলার আকাশে চাঁদ-শুক্রের মিলন! খালি চোখে দেখা গেল মহাজাগতিক মহামিলন!

রামজানের সন্ধ্যায় বাংলার আকাশে চাঁদ-শুক্রের মিলন! খালি চোখে দেখা গেল মহাজাগতিক মহামিলন!

কলকাতা:

চাঁদ মাখা সন্ধ্যা বড় দেরিতে আসে
যখন আসে তখন স্বপ্ন সুন্দর হয়ে আসে…

আকাশের একফালি চাঁদের নীচের যে বিন্দু। মহাকাশের এই যে মহামিলন তা দেখলে অন্তত এই কথাই মাথায় আসবে। এক বিরলতম দিনের সাক্ষী। রমজানের প্রথম সন্ধ্যায় মহাকাশে ছিল অপার্থিব এক রূপ। চাঁদ-শুক্রের মহামিলন। যা অন্তত চারশো বছর পর এল বলেই মনে করছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। সৌরমণ্ডলের বেশ তেজি গ্রহ শুক্র ও পৃথিবীর উপগ্রহ এক লাইনে আসা কম কথা নয়। দুটিরই কক্ষপথ আলাদা, কক্ষপথের গতি থেকে সূর্য থেকে দূরত্ব সবটাই আলাদা। সূর্যকে প্রদক্ষিন করতে করতে যখন একই লাইনে আসে তখন সেই মুহূর্তকে বিরলতম বলা হয়।

জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা ঠিক কী জানাচ্ছেন, কীভাবে চাঁদের ঠিক নীচে সমানে সমানে এল শুক্র। শুক্রের সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের পরই আকাশে দেখা যায় এক ফালি চাঁদ। সেই এক ফালি চাঁদের নীচে দেখা যাচ্ছে শুক্র গ্রহ। চাঁদ বিকেল ৪.৪৩ থেকে সন্ধ্যা ৬.০৮ মিনিট পর্যন্ত শুক্র গ্রহকে ঢেকে ফেলেছিল। মনে করা হচ্ছে, শুক্রের গ্রহণ হচ্ছিল। সেই শুক্রের গ্রহণ কাটে ছটা বেজে আট মিনিটে। যা মহাজাগতিক ইতিহাসে বিরলতম দৃশ্য। কলকাতা অ্যাসট্রনমি সেন্টার থেকে জানানো হচ্ছে, চাঁদ পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে, আর এই ঘুরে ফেলার সময় আমরা দেখতে পাই চাঁদ ক্রমশ পূর্বদিকে সরে যাচ্ছে। এই সরে যাওয়ার পথেই চাঁদ শুক্রবার শুক্র গ্রহকে আড়াল করে ফেলে। আর যে জায়গা থেকে এই আড়ালের পথ মিশে গেছে তাকে বলা হচ্ছে চাঁদের আড়াল বা Lunar Occultation।  প্রথমে চাঁদ শুক্রকে ঢেকে দেয়। পরে সূর্যাস্তের পর পরিষ্কার হয় একফালি চাঁদের নীচে শুক্র।

শহর কলকাতায় এই দৃশ্য  যেমন দেখা গেছে। ভারতের বিভিন্ন শহরে এই ছবি ধরা পড়েছে। যেখানে মহাজাগতিক মহামায়া চাক্ষুস করল মানবজাতি। এই দিন কবে আসবে বলা কঠিন। তবে তেইশের এই শুক্রবার মনে রাখার মতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 5 =