সবজির বাজারে আগুন, মাছ-মাংস আকাশ ছোঁয়া দাম! কী খাবে জনতা?

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় উমপুনের দাপটে বিধ্বস্ত দক্ষিণবঙ্গ৷ এখনও বহু জায়গায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি৷ নেই বিদ্যুৎ-জল৷ এরই মধ্যে হু হু করে চড়তে শুরু করেছে আনাজপাতির দাম৷ সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া৷ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাছ-মাংসের দামও৷ এই দাম বৃদ্ধিতে মাথায় হাত পড়েছে মধ্যবিত্তের৷   

কলকাতা:  অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় উমপুনের দাপটে বিধ্বস্ত দক্ষিণবঙ্গ৷ এখনও বহু জায়গায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি৷ নেই বিদ্যুৎ-জল৷ এরই মধ্যে হু হু করে চড়তে শুরু করেছে আনাজপাতির দাম৷ সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া৷ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মাছ-মাংসের দামও৷ এই দাম বৃদ্ধিতে মাথায় হাত পড়েছে মধ্যবিত্তের৷   

উমপুনের তাণ্ডবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে সবজির খেত৷ অধিকাংশ জমি চলে গিয়েছে জলের তলায়৷ ফলে কমেছে যোগান৷ ক্রেতারা বলছেন, লকডাউন চললেও শহর থেকে শহরতলীর বাজারে সবজির দাম ছিল নাগালের মধ্যে। কিন্তু উমপুনের পর তা নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে৷ গ্রীষ্মকালীন সমস্ত সবজির দাম এক ধাক্কায় কিলো প্রতি ৩০-৩৫ টাকা বেড়ে গিয়েছে। গত সপ্তাহে যেখানে পটলের দাম ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, সেখানে সোমবার কলকাতার অধিকাংশ বাজারে পটলের দাম ছিল কিলো প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা৷ বেগুন ৫০ টাকা, ঢেঁড়স, পেঁপে, টমোটোর দাম ঘোরাফেরা করছে ৫০ টাকার আশেপাশে৷ শশা ৮০ টাকা, ঝিঙে ৫০ থেকে ৬০ টাকা৷ কাঁচালঙ্কা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে।

মূলত যে সব জেলা থেকে শহরে সবজি আসে, তার বেশির ভাগই উমপুনের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত। ফলে জেলা শহরের বাজারে সবজি আসছে না। যার জেরেই বাড়ছে সবজির দাম৷ আগামী দিনে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ এর উপর ক’দিন বাদেই জামাইষষ্ঠী৷ সেই উপলক্ষেও দাম থাকবে চড়া৷  এদিকে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাছ-মাংসের দামও। গত সপ্তাহে মুরগির মাংস ছিল কেজি প্রতি ১৭০ থেকে ১৯০ টাকার মধ্যে৷ সোমবার মুরগির মাংসের দাম বেড়ে ২৫০ টাকা কেজি হয়েছে৷ পাবদা পারশে, ট্যাংরা, ভেটকি বিকোচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে৷

শুধু দুই ২৪ পরগনা নয়, বর্ধমান, হাওড়া, হুগলীর মতো কৃষিপ্রধান জেলাগুলিতেও চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ হাওড়া জেলা কৃষি দফতর সূত্রের খবর, উমপুনের তাণ্ডবে ক্ষতি হয়েছে জেলার ৪ হাজার হেক্টর জমির সবজি৷ ১৩০০ হেক্টর জমিতে ভেঙেছে পানের বরজ৷ প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, উমপুনের ধাক্কায় কৃষিক্ষেত্রে ৯০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে৷ এই সুপার সাইক্লোনের প্রভাব পড়েছে হুগলীর সিঙ্গুরেও৷ ক্ষতিগ্রস্ত ৬৯০ হেক্টর জমির ফসল৷ নষ্ট হয়েছে ৮১৪ হেক্টর জমিতে চাষ করা তিল৷ ১৫৩ হেক্টর জমিতে ডাল শস্যের ক্ষতি হয়েছে৷ আনুমানিক ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছে হুগলীর কৃষি দফতর৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 + 18 =