ঘরের বাইরের দিকে জানলা ছিল না! মৃত্যুভয় কি গ্রাস করেছিল ভাদুকে

ঘরের বাইরের দিকে জানলা ছিল না! মৃত্যুভয় কি গ্রাস করেছিল ভাদুকে

রামপুরহাট: রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন বড়শাল পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। বগটুই মোড়ে একটি চায়ের দোকানে ছিলেন তিনি। তখন মোটরসাইকেলে করে দুষ্কৃতীরা এসে তার উদ্দেশ্যে বোমা ছোড়ে। পরবর্তী সময়ে তাঁর মৃত্যু হয়। কিন্তু এই মৃত্যুর পরেও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে যে, আগে থেকেই কি মৃত্যু আন্দাজ করতে পেরেছিলেন তিনি? মৃত্যুভয় নিয়েই ছিলেন দীর্ঘদিন? এই প্রশ্নের সবথেকে বড় কারণ, ভাদু শেখের বাড়ির নকশা। তাঁর শোয়ার ঘরে বাইরের দিকে কোনও জানলা ছিল না। এর কারণ কী হতে পারে, তাই নিয়েই জল্পনা।

আরও পড়ুন- গত দু’দশকে বাংলায় গণহত্যার বলি ৯১ জন, রামপুরহাট উস্কে দিল সেই ‘অন্ধকার’ স্মৃতি

স্থানীয় সুত্রেই জানা যায়, ভাদুর যাবতীয় কারবারের সঙ্গে যুক্ত থাকা দাদা বাবর খুন হন আগেই। গুলি করে খুন করা হয়েছিল তাঁকে। এই ঘটনার পরেই কার্যত মৃত্যুভয় চেপে ধরেছিল ভাদুকে। বাড়ির সামনে সাতটি সিসিটিভি লাগিয়েছিলেন তিনি। আবার বাড়ির তিনতলায়, যেখানে তিনি থাকতেন সেটা নতুন করে ভেঙে নির্মাণ করেছিলেন। সেই ঘরে গিয়ে দেখা গেছে, বাইরের দিকে কোনও জানলা নেই। কেন তিনি জানলা রাখেননি? স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্ন উঠছে। গতবছর বাবর খুন হওয়ার পর থেকেই কি নিজের মৃত্যু নিয়ে ভাবতে শুরু করেছিল ভাদু? ভয় ছিল যে তাঁকেও দাদার মতো মেরে ফেলা হবে? উত্তর অজানা। তদন্তে এও জানা গিয়েছে, ভাদু নিজের জন্য ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করেছিলেন। সঙ্গী ছাড়া কোথাও বিশেষ বেরোতেন না। কিন্তু এই রক্ষীদের নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা।

আসলে ভাদু শেখের সঙ্গে সব সময় অন্তত হাফ ডজন যুবক ঘুরত বলে জানা গিয়েছে স্থানীয় সূত্রে। কিন্তু ঘটনার সময় তারা কেউ ছিলেন না। বগটুই মোড়ের যে সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করেছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা, তাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ৪ আততায়ীকে। সেখান থেকে সন্দেহ তীব্র হচ্ছে যে, ঘনিষ্ঠরা কেউ ভাদুকে খুন করেছে। কারণ তিনি কখন, কোথায় থাকবেন, তা তারা আগে থেকেই জানত বলেই অনুমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *