নয়াদিল্লি: অক্টোবর বাংলা বার মাসের মধ্যে দেশের শিশুদের জন্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন চলে আসবে বলে এর আগে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশ এসেছিল। তবে এবার মনে করা হচ্ছে আগামী মাস অর্থাৎ অগাস্টেই বাজারে চলে আসবে শিশুদের জন্য করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন। সম্প্রতি এমনই আশা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মাণ্ডব্য।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে যে অগাস্ট মাস থেকেই দেশের শিশুদের জন্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন চলে আসবে বাজারে। আপাতত ১৮ বছর এবং তার উর্ধ্বে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ চলছে। তবে খুব শীঘ্রই শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আসলে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি বলে একাধিক গবেষণা প্রকাশ পেয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই শিশুদের ভ্যাকসিন যাতে সঠিক সময়ে আনা যেতে পারে তার জন্য উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। এখন জানা যাচ্ছে যে আগামী মাসের শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন চলে আসবে বলে আশা রাখছে সরকার।
এদিকে আবার কোউইন পোর্টালের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে যে এখনো পর্যন্ত দেশের প্রাপ্তবয়স্কদের ৭৩.৫ শতাংশ ভ্যাকসিনের একটিও ডোজ পায়নি। দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার মাত্র ১০ শতাংশ করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পেয়েছে। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, প্রাপ্ত বয়স্কদের মোট ৯৪ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ২৬.৫ শতাংশ একটি টিকা পেয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার আগেই জানিয়েছিল যে চলতি বছর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময় নিয়ে গোটা দেশের মানুষকে টিকা দেওয়ার কাজ করতে চায় তারা। কিন্তু যে হারে টিকাকরণের কাজ এগোচ্ছে তাতে এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, যেসব দেশে অধিকাংশ জনসংখ্যাকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে ইতিমধ্যেই তাদের জনসংখ্যা ভারতের থেকে অনেক কম। সেই প্রেক্ষিতেই সেটা সম্ভব হয়েছে। তবে ভারতের টিকাকরণের পরিমাণ যে দৈনিক ভাবে আরো বাড়াতে হবে তাতে কোন সন্দেহ রাখছেন না তারা।