কলকাতা: রাজ্য সরকার আগামী মাসে শুরু হতে চলা দুয়ারে সরকার শিবির থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের কোভিড টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা মোতাবেক প্রবীণ এবং প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের তৃতীয় তথা বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজও দুয়ারে সরকার শিবির থেকে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলাশাসক এবং জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের এই ব্যাপারে বিস্তারিত পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী টিকা প্রাপকদের তালিকা তৈরির কাজ প্রস্তুত। জানা গিয়েছে, এই রাজ্যে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী টিকা প্রাপকের সংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষ। পাশাপাশি ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় ১ কোটির বেশী কোমর্বিডিটি যুক্ত প্রবীণ এবং ৫ লক্ষ প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা তথা ৭ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর একটি পৃথক তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এরা করোনা টিকার বুস্টার ডোজ পাবেন। দুয়ারের সরকার শিবিরে এই তিন শ্রেণির টিকা প্রাপকের টিকাকরণের কাজ সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। করোনা টিকাকরণ ছাড়াও এবারের দুয়ারে সরকার শিবিরে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা থাকবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। ডায়াবেটিস,হাইপার টেনশন, ওরাল ক্যান্সার, চক্ষু পরীক্ষার মতো বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে দুয়ারে সরকার শিবিরে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের তরফে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সিরা যাঁরা দু’টি কোভিড-১৯ টিকা নিয়েছেন তারা কোনও রকম প্রমাণপত্র ছাড়াই বুস্টার ডোজ নিতে পারেন। উল্লেখ্য, ডায়াবিটিস, কিডনির সমস্যা, হৃদযন্ত্রের সমস্যার মতো সমস্যা থাকলে তাকে কোমর্বিডিটি বলা হয়। অন্যদিকে, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কমপক্ষে নয় মাস বা ৩৯ সপ্তাহ পরে মিলবে করোনা টিকার প্রিকশন বা বুস্টার ডোজ। ৬০ বছরের বেশি যাদের বয়স, তাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ৩৯ সপ্তাহ পরে এই ডোজ দেওয়া হবে। তৃতীয় ডোজ়ের ক্ষেত্রে কোনও মিক্স অ্যান্ড ম্যাচ পদ্ধতি গ্রহণ করা হবে না। আগে যে টিকা নেওয়া আছে, সেই টিকাই নিতে হবে। আর ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের শুধুমাত্র কোভ্যাক্সিন দেওয়া হবে।