কলকাতা: আগামী দুই দিনের মধ্যে ২ কোটি টিকাকরণের লক্ষ্য পূরণের পথে এগোচ্ছে বাংলা৷ যার অর্থ প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে ন্যূনতম টিকার একটি ডোজ পাবে বাংলার একজন নাগরিক৷ মঙ্গলবার ২ হাজার ৩৮৩টি শহরে টিকা নিয়েছেন ২.৯ লক্ষ মানুষ৷ যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে টিকা নিলেন ১.৯ কোটি মানুষ৷ কিন্তু স্বাস্থ্য দফতর বলছে, এখনও রাজ্যে টিকাকরণ কর্মসূচি বিপুল ভাবে শুরু করা সম্ভব হয়নি৷ এর অন্যতম প্রধান কারণ হল টিকার সরবরাহের ঘাটতি৷ ঠিক এই কারণের জন্যই ১৮ ঊর্ধ্ব সকলের জন্য সার্বিকভাবে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না৷
জানা গিয়েছে রাজ্যের হাতে ১৪ লক্ষ ডোজ মজুত আছে৷ বেসরকারি টিকাকরণ কেন্দ্র সহ এখন দিনে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ টিকা নিচ্ছেন৷ যা রাজ্যের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম৷ অনেক টিচিং হাসপাতালে টিকাকরণের ক্ষমতা এক তৃতীয়াংশ হ্রাস করা হয়েছে৷ এক সরকারি আধাকারিকের কথায়, আমরা ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সসীমার বহু মানুষের কাছ থেকে নানা প্রশ্ন পেয়েছি৷ কিন্ত আমাদের ক্ষমতা এক তৃতীয়াংশ বা এক চতুর্থাংশে পৌঁছেছে৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘সোমবার থেকে ১৮ ঊর্ধ্ব সকল নাগরিকের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে তিনটি ভাগে ১৩ লক্ষ ডোজ আমরা পেয়েছি৷ মঙ্গলবার এসেছে কোভ্যাক্সিনের ৩৮,৬৯০ টি ডোজ৷’’ রাজ্য পরিবার কল্যাণ দফতরের আধিকারিক অসীম দাস মালাকার বলেন, ‘‘জুনের শেষে আরও ১০ লক্ষ টিকা আমরা পাব৷ টিকার সরবরাহ ক্রমশ বাড়ছে৷ কিন্তু সেটাও পর্যাপ্ত নয়৷ ’’
অন্যদিকে মেডিকার চেয়ারম্যান বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০০ মানুষের টিকাকরণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে৷ আমাদের কিশোর ভারতী সেন্টার দিনে ৪০০০ ডোজ দেওয়া হচ্ছে৷’ অন্যদিকে দিনে সাড়ে ৩ হাজার টিকা দিচ্ছে আমরি৷