কলকাতা: যত দিন যাচ্ছে দেশের এবং রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করছে। সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার দেখে তা বোঝার কোনো জায়গা নেই। এদিকে নির্বাচনী প্রচারের জন্য সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা আরও প্রবল ভাবে বেড়ে গিয়েছে। সবমিলিয়ে ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। জানানো হয়েছে, উত্তীর্ণ ভবন এবং গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম সেফ হোম হবে। উত্তীর্ণতে থাকবে ৪০০ বেড এবং গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে থাকবে ২০০ বেড। সেফ হোমে থেকে যদি কোন রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে, তাহলে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালে।
এই বিষয় সম্পর্কে ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, উত্তীর্ণ ভবনের মত কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম, আনন্দপুর, গীতাঞ্জলি সবেতেই হবে সেফ হোম। আপাতত উপসর্গহীন এবং অল্প উপসর্গের রোগীদের এখানে রাখা হবে। বাইরে থাকবে কমপক্ষে ১০ টি অ্যাম্বুলেন্স এবং চালু করা হবে নতুন একটি হেল্পলাইন নম্বর। সেফ হোমে থাকা কোনো রোগীর যদি শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে তাহলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে এখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালে। ফিরহাদ জানান, অনেক আগেই এই জায়গা গুলো নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছিল কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতি একটু নিয়ন্ত্রণে আসায় তখন করা হয়নি। তবে এখন পরিস্থিতি যেহেতু জটিল দিকে যাচ্ছে তাই এই সেফ হোম গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, সাধারণ মানুষ চাইছেন যাতে এখন তিনি রাজ ধর্ম পালন করেন, প্রধানমন্ত্রীর কর্তব্য এবং দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এখনও তিনি নিজেকে রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি তাই বন্ধ করে রেখেছেন এবং বিজেপি নেতার কর্তব্য পালন করছেন। এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর উচিত ভ্যাকসিন সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ করা। ভ্যাকসিন নিয়ে ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন। কিন্তু ফিরহাদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী সেই অনুযায়ী কোন রকম পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।