আলিগড়: সপ্তাখানেক আগে স্যুটকেস থেকে এক যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের লোকেরা তাঁর দেহ শনাক্ত করে। এর সপ্তাখানেক পরেই স্বশরীরে আলিগড়ে নিজের জেলায় হাজির হন ওই তরুণী। ২৪ বছরের ওই তরুণী জানিয়েছেন, তিনি ওয়ারিশা। তাঁর এখনও মৃত্যু হয়নি।
জানা গিয়েছে, ২৭ জুলাই গাজিয়াবাদের হজ হাউসের সামনে থেকে একটি স্যুটকেশ উদ্ধার করা হয়। মৃত তরুণীর ছবি দেখিয়ে গাজিয়াবাদ পুলিশ খোঁজ চালাতে শুরু করেন। অন্য দিকে, তিন দিন ধরে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওয়ারিশা। পরিবারের সদস্যরা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।পুলিশের তরফে গাজিয়াবাদ থেকে পাওয়া স্যুটকেসে মৃত তরুণীর ছবি দেখানো হয়। পরিবার শনাক্ত করে দেহ। এরপর আলিগড়ে তাঁর দেহ সৎকার করে পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ১ জুলাই বুলন্দশহরের আমির খানের সঙ্গে ওয়ারিশার বিয়ে হয়। তারপর পণের দাবিতে মারধর শুরু হয় ওয়ারিশার ওপর। ওয়ারিশার পরিবারে অভিযোগের ভিত্তিতে শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী ও ননদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কিন্তু এক সপ্তাহ পর ওয়ারিশা বাড়িতে ফিরতেই হকচকিয়ে যায় সকলে। ওয়ারিশা জানায় শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে পালিয়ে গিয়েছিল নয়ডাতে। সেখানে কিছুদিন থাকার পর তিনি বাড়িতে ফিরে এসেছেন। উত্তরপ্রদেশের পুলিশেৎ তরফে জানানো হয়েছে, ওয়ারিশার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা তুলে নেওয়া হবে। তবে পণের দাবিতে অত্যাচারের মামলা বহাল থাকবে। এই বিষয়ে আদালতকেও জানানো হবে। তবে ওই স্যুটকেসের ভিতর মৃত তরুণীর পরিচয় জানতে উত্তর প্রদেশের পুলিশ নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।