কলকাতা: দিনে দিনে বদলে যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের চরিত্র৷ ৪ বাঙালি বিজ্ঞানীর গবেষণায় এমনই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে৷ ভাইরাসের ভোলবদলের গবেষণা রিপোর্ট মার্কিন বিজ্ঞান প্রত্রিকা এলসেভিয়ারের জিনোমিক্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে৷ যদিও, ভাইরাসের এই বিবর্তন দেশের পক্ষে ভালো না খারাপ, তা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি বিজ্ঞানীরা৷ তবে তাঁরা জানিয়েছেন, কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে আরও পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন৷ তারপর নিশ্চিত হওয়া যাবে৷
ভাইরাসের চরিত্র বদল বিজ্ঞানের পরিভাষায় মিউটেশন বলা হয়ে থাকে৷ তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় ১১৮ বার জিনের বদল ঘটিয়েছে৷ ভারতে ৩ ধরনের করোনার সন্ধান মিলেছে৷ ভাইরাসের বিবর্তন ধরা পড়ায় চিকিৎসার পদ্ধতিতে নতুন দিশা খুলে যাবে বলে আশা গবেষকদের৷
করোনার বিবর্তনের সন্ধান পেলেন কোন ৪ বাঙালি বিজ্ঞানী? সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ, গবেষণা করেছেন কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার বিজ্ঞানী পবিত্র পালচৌধুরী, পিংলা থানা মহাবিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক শেখ শরিফ হাসান, জোহানেসবার্গের উইটওয়াটারসর্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওরিটিক্যাল ফিজিসিস্ট ডঃ পল্লব বসু ও কলকাতার ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অব সায়েন্সের কোষ বিজ্ঞানী সিদ্ধার্থ এস জানা৷
জানা গিয়েছে, দেশের মোট ৩২ জন রোগীর শরীরের ভাইরাসের জিন বিশ্লেষণ করে গবেষণা চালিয়েছেন এই চার বাঙালি বিজ্ঞানী৷ তাঁদের দাবি, করোনা ভাইরাসের মধ্যে থাকা একটি বিশেষ প্রোটিন ‘ওআরএফ৩এ’ ভারতীয়দের জিন ও আবহাওয়া অনুযায়ী নিজেকে পাল্টেছে৷ তবে, তা শক্তিশালী হচ্ছে, না কি দুর্বল, এখনও চলছে গবেষণা৷