কলকাতা: করোনা প্যানডেমিকে লকডাউনের জেরে বিশ্বজুড়ে কর্মহীন লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ কোথাও আবার কোপ পড়েছে বেতনে৷ ভারত তথা এ রাজ্যের অর্থনীতির অবস্থাও বেহাল৷ এই পরিস্থিতির মধ্যেই ভবিষ্যতের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন উচ্চপ্রাথমিক শিক্ষক পদের প্রার্থীরা।
গত সাত বছর ধরে ঝুলে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ একপ্রকার দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে প্রার্থীদের৷ এমন অবস্থায় আরও তীব্রতর আন্দোলন শুরু করলেন তাঁরা৷ বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় ফেসবুক গণ লাইভ৷ বাড়িতে বসেই ফেসবুক লাইভে প্রতিবাদের ঝড় তুললেন চাকুরিপ্রার্থীরা।
দীর্ঘ সাত বছর ধরে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা৷ নানা কারণে বছরের পর বছর ধরে থমকে রয়েছে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ৷ এ নিয়ে আগেও বিস্তর আন্দোলন হয়েছে। এদিন ফেসবুক লাইভে এসে সমস্ত প্রার্থীরা দুই থেকে পাঁচ মিনিটের জন্য প্রতিবাদ জানান৷
উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের আবেদনপত্র জমা পড়েছিল ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে৷ টেট পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালের ১৬ অগাস্ট৷ ফলাফল প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর৷
এর পর দীর্ঘ লড়াই আন্দোলন, গ্রেফতার, পুলিশের মার, হেনস্থার পর গত বছর ২০১৯ সালে মাঝামাঝি সময়ে সফল চাকরিপ্রার্থীদের ভেরিফিকেশনের বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ পরে ওই বছর জুলাই মাসে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়৷ তখন থেকেই উঠতে থাকে প্রবল দুর্নীতির অভিযোগ৷ ২০১৯ এর ৪ নভেম্বর দুর্নীতির আবহেই প্রকাশিত হয় মেধাতালিকা৷ সেই তালিকার বিরুদ্ধে চরম অনিয়মের অভিযোগে দায়ের হয় মামলা যার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি৷ শিক্ষক নিয়োগের উপর এখনও বহাল স্থগিতাদেশ৷ করোনা পরিস্থিতিতে সরাসরি প্রতিবাদ জানাতে না পেরে ফেসবুককেই প্রতিবাদ মঞ্চ গড়লেন চাকরি প্রার্থীরা৷
উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে গড়িমসি, ফেসবুক লাইভে গণবিভোক্ষ প্রার্থীদের
উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে গড়িমসি, ফেসবুক লাইভে গণবিভোক্ষ প্রার্থীদের