upi
কলকাতা: বিজ্ঞানের হাত ধরে সকলে অনেক দূর এগিয়েছে। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত যেটা ভাবা যেত না, এখন তার অনেক কিছু ঘটছে। তার মধ্যে সব থেকে বড় বিষয়, হাতে টাকা না থাকলেও পেমেন্ট! হ্যাঁ, ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে ইউপিআই পেমেন্ট কী, তা কাউকে বোঝানোর দরকার নেই। হাটে, বাজারে, শপিং মলে এমনকি পান-বিড়ির দোকানেও ইউপিআই পেমেন্ট চলে এখন। কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষায় যে চিত্র ধরা পড়েছে তা বিরাট উদ্বেগ বাড়াবে। জানা গিয়েছে, দেশের ৫৫ শতাংশ আর্থিক জালিয়াতির ঘটনা এই ইউপিআই থেকেই হচ্ছে। আর জালিয়াতির ঘটনায় প্রথম তিনে আছে বাংলা।
প্র্যাক্সিস নামের এক সংস্থার সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গে সবথেকে বেশি ইউপিআই জালিয়াতি হয়, যা দেশের ৩০ শতাংশ। আর গোটা দেশের মধ্যে আর্থিক জালিয়াতির ৫৫ শতাংশ হয়ে ডিজিটাল থেকেই। এই সমীক্ষা আরও দাবি করেছে, ইউপিআই জালিয়াতিতে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ১০ হাজার টাকা বা তার কম। এর পরিমাণ ৫০ শতাংশ। এছাড়া ৪৮ শতাংশ গ্রাহকরা ১০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ১ লক্ষ টাকার বেশি প্রতারণা হয়েছে ২ শতাংশ। তবে এর থেকে এটা বোঝা যায় না যে কোন মাসে কত মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ইউপিআই থেকে। তার একটা হালকা ইঙ্গিত অবশ্য দিয়েছে অন্য এক বেসরকারি সংস্থা।
তাদের হিসেবে, গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে প্রতি মাসে অন্তত ৮০ হাজার ইউপিআই সংক্রান্ত জালিয়াতি হয়েছে! যদিও অনলাইন লেনদেন হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা। সেই অনুযায়ী জালিয়াতির সংখ্যা কম হলেও একটা জালিয়াতির ঘটনাও কাম্য নয়। তাই মানুষকে আরও বেশি সচেতন থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এমনকি ইউপিআই দেখভাল করে যে সংস্থা তারাও নজরদারি বাড়িয়েছে আগের থেকে।