ব্যারাকপুর: উৎসবের আনন্দে মাতলেন মন্ত্রীও৷ পায়ে হেঁটে ঘুরলেন মণ্ডপ৷ বাজালেন ঢাক৷ এভাবেই এলাকাবাসীর মন জয় করতে পদক্ষেপ নিতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে৷
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মণ্ডপে হাজির হয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর৷ বনগাঁ শহরে তখন নেমেছে দর্শনার্থীদের ঢল৷ তার মধ্যেই বনগাঁয় প্রতিমা দর্শন করতে দেখা গেল বনগাঁর সংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে। ভিড়ের মধ্যে পায়ে হেঁটে বনগাঁ মতিগঞ্জ ঐক্য সম্মিলনী পূজা মণ্ডপে পৌঁছান তিনি। মায়ের মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করেন তিনি।
ঢাকিদের কাছ থেকে ঢাকের কাঠি নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ মন্ত্রীকে ঢাকও বাজাতে দেখা যায়৷ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সকলকে নবমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ছোটবেলার অভ্যাস ছিল পুজোর সময় প্রতিমার সামনে ঢাক বাজানো৷ তাই ছোটবেলার সেই অভ্যাসটা একটু ঢালিয়ে নিলাম৷ এদিন শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ উত্তর বিধানসভার বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া ও গাইঘাটায় বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর।
পরে সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্য তথা দেশকে হিংসার পরিবেশ মুক্ত হোক৷ সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় ঘটুক৷ আগামী বছরটা সমগ্র দেশবাসী সুখে, শান্তিতে কাটাক এবং আমরা আবার করোনা মুক্ত সমাজ ফিরে পাই৷ মায়ের কাছে এগুলোয় আর্জি জানালাম৷’’ বস্তুত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে দেখতে এদিন প্রতিমা দর্শনে আসা বহু মানুষকেই ভিড় জমাতে দেখা গিয়েছিল৷ তবে কোভিড পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে তাঁদেরকে ভিড় না করার জন্য আর্জি জানাতে দেখা যায় মন্ত্রীকে৷