দ্বিতীয় দিনে দক্ষিণেশ্বের মন্দিরে পুজো দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দ্বিতীয় দিনে দক্ষিণেশ্বের মন্দিরে পুজো দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

c91abae78d5d65337d2628dbb12a78e1

কলকাতা: বাংলা সফরের দ্বিতীয় দিনে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে কর্মসূচী শুরু করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহার মতো বিজেপি নেতারা। দুপুর ও বিকেলেও একাধিক কর্মসূচী রয়েছে তাঁর।
 

এদিন দুপুরে সাংগঠনিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। সেখানে দলের নির্বাচিত নেতানেত্রীরা থাকবেন বলে সূত্রের খবর। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলের কৌশল এবং নানান সাংগঠনিক বিষয় হবে সেই বৈঠকে। এরপরেই গৌরাঙ্গ বাড়িতে মতুয়া সম্প্রদায়ের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর জন্য মেনুতে থাকছে, ভাত, রুটি, ছোলার ডাল, মুগ ডাল, বেগুন ভাজা, শুক্তো, পনির, চাটনি, নলেন গুড়ের পায়েস। বাগুইহাটির গৌরাঙ্গনগরে মতুয়া সম্প্রদায়ের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তিনি। এরপরেই নিউটাউনে দুপুর ২ টো ১৫ থেকে তিনটে পর্যন্ত সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন অমিত শাহ। বিকেল সওয়া তিনটে থেকে পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

বিজেপি সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি জেলা নিয়ে ধরে ধরে আলোচনা করতে পারেন অমিত শাহ। তারমধ্যে রয়েছে, তারমধ্যে রয়েছে কলকাতা দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ।   শাহের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সেইসব জেলার বিজেপি নেতারা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জেলার সংগঠন, সেখানে ভোটযুদ্ধের কৌশল কী হবে বা কোন পথে দল লড়াইয়ের ময়দানে নামবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। মূলত সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই এবাবের বঙ্গ সফর অমিত শাহের।

বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার জেলা নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন অমিত শাহ। এছাড়াও সেখানকার চতুরডিহি গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, করলা ভাজা, পটল ভাজা, শাক ভাজা, আলু পোস্ত,  কুমড়োর ঝাল এবং চাটনি। বিহারে দুই পর্বের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সেখানে তৃতীয় পর্বের ভোটগ্রহণ। বিহার নির্বাচনের পর্ব মিটতেই বাংলা নিয়ে ঝাঁপাবে বিজেপি। পূর্ব বঙ্গে পদ্ম ফোটাতে এবার মরিয়া বিজেপি। সেই জন্যই কেন্দ্রীয় নেতাদের এনে দলীয় নেতৃত্বকে চাঙ্গা করার কৌশল বলে মত রাজনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *