কলকাতা: দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে যে দারুণ সম্পর্ক, এ কথা কেউই হলফ করে বলতে পারবেন না। এবার আরেকটি দ্বৈরথ সৃষ্টি হওয়ার পথে, তা হল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রীর দ্বৈরথ। করোনা, পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য, ত্রাণ ইত্যাদি একাধিক প্রসঙ্গে রীতিমতো দৃঢ় স্বরে নির্মলা সীতারামনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ আনলেন অমিত মিত্র। আজ (২৯ জুন) বিকেলে অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে ঘণ্টাখানেক সময় ধরে নির্মলার প্রতি একের পর গুরুতর অভিযোগ আনলেন অমিত। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর একের পর দাবিকে রীতিমতো জোরের সঙ্গে নস্যাৎ করে দিলেন অমিত।
বৈঠকে বেশ কয়েকবার ‘চ্যালেঞ্জ করে বলছি’ কথাটা বলতে শোনা গেল তাঁকে। নির্মলা তো বটেই, গোটা বিজেপি সরকারকেই বিভিন্ন প্রসঙ্গে তুলোধোনা করলেন অমিত। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন, কোভিড-১৯ এর জন্য ১০,১০৬ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বাংলাকে। অমিত জানালেন, এ কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এক পয়সাও দেওয়া হয়নি রাজ্যকে। রাজ্যের ইতিমধ্যেই কোভিড পরিস্থিতির জন্য হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে এবং আরও হত চলেছে বলে জানান অমিত। কিন্তু নির্মলা কেন এই ‘মিথ্যা’ বলছেন তা নিয়ে আশ্চর্য বাংলার অর্থমন্ত্রী।
এরপর পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্যের প্রসঙ্গেও নির্মলার প্রতি বিষোদ্গার করেন অমিত। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় দেশের অনেকগুলি জেলাকে সামিল করা হলেও নেই এ রাজ্যের একটি জেলাও। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলার তরফে ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের বিশদ তথ্য ও বিবরণ দেওয়া হয়নি, তাই বঞ্চিত থেকেছে বাংলা। এই দাবিকেও সর্বৈব মিথ্যা বললেন অমিত। তিনি জানান, ২৩ জুন জেলাস্তরে তথ্য চেয়ে মেল আসার পর সেদিনই সন্ধে সাতটা নাগাত তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর দু’দিন পর কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, জেলা নয়, লাগবে ব্লক স্তরের তথ্য। তাও সেদিনই সন্ধে নাগাদ দিয়ে দেওয়া হয়। অতএব তথ্য না পাওয়ার অজুহাতকে একেবারেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যাচার বলে মনে করছেন অমিত।
অমিতের দাবি, তাঁর হাতে আছে সেই চিঠি যা কেন্দ্রের কাছেও রয়েছে। তিনি বললেন, ‘মাননীয় অর্থমন্ত্রী আপনি দয়া করে সেই চিঠি বের করুন এবং সর্বসমক্ষে ক্ষমা চান। বলুন, যে আমি জানতাম না এই বিষয়ে, এটা আমি ভুল করে বলে ফেলেছি।