unesco
কলকাতা: বাংলা ও বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো ইতিমধ্যেই ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। ২০২১ সালেই বাংলার সাফল্যের মুকুটে আরও এক পালক জুড়েছিল। সেবার কলকাতায় এসেছিল তাঁদের প্রতিনিধি দল এবং খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের নিয়ে রাজপথে হেঁটেছিলেন। এবার জানা গেল, ফের শহরে আসছেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা। চলতি বছরও দুর্গাপুজোর আগেই আসতে পারে তারা।
ইউনেস্কো আগেই তাঁদের বক্তব্য জানিয়েছে যে, দুর্গা পুজো ১০ দিনের ধর্মীয় উৎসব৷ যেখানে ধর্ম ও শিল্পের মেলবন্ধন হয়৷ কী ভাবে গঙ্গা থেকে মাটি নিয়ে প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে, ১০ দিনের দিন তা বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে, এই সমস্ত বিষয় ইউনেস্কোর বর্ণনায় উঠে এসেছে৷ আর এর সঙ্গে উঠে এসেছে শিল্প চর্চার কথা৷ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরম্পরাকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরাই তাঁদের কাজ। আর কলকাতার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়ে তারা পশ্চিমবঙ্গের গর্ব আরও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে এবার তারা পুজোর আগে এসে বিশেষ কোনও কাজ করে কিনা সেটা দেখার ব্যাপার।
জানা গিয়েছে, মহালয়ার আগে দুর্গাপুজোর আমেজ নিতে কলকাতায় আসছে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরা। প্যারিস থেকে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে ইউনেস্কো। এই পুজো শুধু পুজো নয়, শিল্পের মেলবন্ধন। সেটাই আবার চাক্ষুষ করতে ইচ্ছুক তারা। তার জন্যই আবার একবার পুজোর আবহে কলকাতামুখী হওয়ার উদ্যোগ দিয়েছে এই প্রতিনিধি দল। ২২টি বারোয়ারি থিম পুজো, দু’টি সাবেকিয়ানার পুজো এবং দু’টি বনেদি বাড়ির পুজো তারা ঘুরে দেখবে বলে আপাতত খবর মিলেছে।