খাদ্যদ্রব্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, নিয়ন্ত্রণে মোদীকে চিঠি ক্ষুব্ধ মমতার

যেভাবে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে তাতে ঘাম ছুটছে মধ্যবিত্তের৷ করোনার অতিমারীর সঙ্গে এ যেন খাদ্যদ্রব্যেরও অতিমারী চলছে৷ সোমবার খাদ্যদ্রব্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মানুষের দুর্দশার কথা ভাবতে বললেন প্রধানমন্ত্রীকে৷ 

 

কলকাতা: যেভাবে খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ছে তাতে ঘাম ছুটছে মধ্যবিত্তের৷ করোনার অতিমারীর সঙ্গে এ যেন খাদ্যদ্রব্যেরও অতিমারী চলছে৷ সোমবার খাদ্যদ্রব্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মানুষের দুর্দশার কথা ভাবতে বললেন প্রধানমন্ত্রীকে৷ চিঠিতে মমতা লেখেন, সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়লে চুপ করে বসে থাকবে না রাজ্য সরকার। 

চিঠিতে মমতা লেখেন, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধনের কারণেই চাল-ডাল-তেল ও আলু-পিঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। অবিলম্বে এর একটা সুরাহা করুক কেন্দ্রীয় সরকার। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, অনেক অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি করে আলু-পেঁয়াজ মজুত করে কৃত্রিমভাবে এই সব প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব তৈরি করছেন। কিন্তু রাজ্যের হাতে কোনও ক্ষমতাই এখন কেন্দ্র রাখেনি তা নিয়ন্ত্রণ করার। তিনি আরও লেখেন ২০১৪ সালেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তখন রাজ্য সরকার দাম বেঁধে দিতে পেরেছিল। কিন্তু এখন রাজ্যের হাতে সেই ক্ষমতা নেই, কেন্দ্রই সেই ক্ষমতার অধিকারী। তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হোক শীঘ্রই।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন,  কেন্দ্র মূল্যবৃদ্ধি রোধে আইনি নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় ক্ষমতা রাজ্যের থেকে কেড়ে নিজেরা হাত গুটিয়ে বসে আছে। রাজ্যের হাতে যখন ক্ষমতা ছিল তখন রাজ্য এদিনে বৈঠক করত এমনকি মাঝে মাঝে সাবসিডিও দেওয়া হত৷ মুখ্যমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘মানুষ আর কত সহ্য করবে? ইতিমধ্যে পেঁয়াজের দাম কোথাও কোথাও একশো টাকা হয়েছে। ঢেঁড়শ-টম্যাটো-করলা ৮০ টাকা কিলো৷ তবে আলুর দাম একশো টাকার কাছাকাছি পৌঁছলেও তা নামতে শুরু করেছে৷ এভাবেই চলছে না খেতে পেয়ে মারা যাবেন মানুশ, আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর৷

প্রশাসনিক বৈঠকেও মমতা বলেছিলেন, আলু, পেঁয়াজ, লঙ্কা নিয়ে যে যা ইচ্ছে করছে। কেন্দ্র তো এখন মজুতদারিররাস্তা খুলে দিয়েছে!’ আগে অত্যাবশ্যকীয় নানা জিনিসের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের হাতে আইনি ক্ষমতা ছিল। প্রতি মাসে রাজ্যে প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক হত। আলু-পেঁয়াজ-চাল ইত্যাদির মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে রাজ্য হস্তক্ষেপ করত। এক সময় রাজ্য সরকার বাজারে দামে ভারসাম্য আনতে পেঁয়াজ বিক্রিও করেছে। cclej কথায়, ‘লকডাউনের আগে আমরা ৪০ হাজার মেট্রিক টন আলু তুলে রেখেছিলাম। তা থেকে সরকার এখনও ২৫ টাকা দরে আলু সুফল বাংলায় বিক্রি করছে। হাতে যা আছে, তাতে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা যাবে। কিন্তু কেন্দ্র এখন রাজ্যের আইনি ক্ষমতা খর্ব করেছে। দাম চড়ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − four =