বাবা-মার মঙ্গল কামনায় লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়ছেন ইউক্রেনের মেয়ে ইরিনা

বাবা-মার মঙ্গল কামনায় লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়ছেন ইউক্রেনের মেয়ে ইরিনা

কলকাতা: ইউক্রেনের এখন কী অবস্থা তা গোটা বিশ্ব দেখছে। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত সেই দেশের অবস্থা এখনই প্রায় করুণ। কিন্তু লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে যেতে রাজি নন ইউক্রেনীয়রা। ইতিমধ্যেই সে বার্তা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তবে সেখানে যারা আটকে পড়েছেন তারা কেমন আছেন? বহু মানুষ আটকে রয়েছেন মাটির নীচের বাঙ্কারে, অনেকে আবার প্রায় ১০০ ফুট তলায় মেট্রো স্টেশনে। এই সব অসহায়দের মধ্যে রয়েছে ইরিনার বাবা, মা। আর তাদের মঙ্গল কামনায় ইউক্রেনের মেয়ে পাঠ করছে লক্ষ্মীর পাঁচালি।

আরও পড়ুন- গোপনে একাধিক প্রেম, সন্তান, বিবাহ বিচ্ছেদ! রহস্যে মোড়া পুতিনের ব্যক্তিগত জীবন

হাওড়ার আন্দুলের বাসিন্দা ইউক্রেনের মেয়ে ইরিনা। সৌরভ দে তাঁর স্বামীর নাম। এখানে থেকেই জানতে পেরেছেন ইউক্রেনের কী অবস্থা। তাই বাবা এবং মা’র জন্য চিন্তা কিছুতেই যাচ্ছে না ইরিনার। তিনি জানতে পেরেছেন, সেখানে জল এবং বিদ্যুৎ নেই। ঠান্ডার কারণে আবার বেশিক্ষণ মাটির গভীরে বাঙ্কারে থাকাও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এদিকে আবার ইরিনার ভাই সেনাবাহিনীতে রয়েছেন। তাই তাঁকে নিয়ে তাঁর আলাদা চিন্তা কারণ সে যুদ্ধে নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে কেঁদে ভাসাচ্ছেন ইরিনা। তিনি বুঝতে পারছেন না যে তাঁর কী করা উচিত। সেই জন্য পাঠ করছেন লক্ষ্মীর পাঁচালি।

আসলে খ্রিস্টান হলেও বাঙালি ঘরের হিন্দু রীতি রেওয়াজ সব মানেন ইরিনা। শাশুড়ি মার থেকে তিনি লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়া শিখেছেন। ইরিনার স্বামী সৌরভ ইউক্রেনের তেরনোপিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে পড়তে গিয়েছিলেন। সেই শহরের বাসিন্দা ইরিনা প্রিতলিউকের সঙ্গে তখন আলাপ হয় তাঁর। এরপরে প্রেম ও বিয়ে। ২০০৯ সালে বিয়ের পরে ইরিনা পাকাপাকি চলে আসেন হাওড়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *