নদীয়া: ভাগ্যিস দেশে ফিরেছিলাম৷ টিভির সামনে বির বির করে শুধু একথাটাই বলছেন, আর একরাশ আতঙ্কে শিউড়ে উঠছে ওদের দেহের লোম৷ চোখের জলে ইশ্বরেরব কাছে কাতর প্রার্থনা করছে আটকে থাকা ভারতীয় থুড়ি সহকর্মীদের জন্য।
ওরা সুপ্রিয় মিত্র ও সানু গনসালভেস। নদিয়ার রানাঘাটের বেগোপারার বাসিন্দা। পেটের দায়ে কাজে গিয়েছিলেন কাবুলিয়ালার দেশে। দুজনেই আফগানিস্তানে u.s. এম্বাসিতে রান্নার কাজে শেফ হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ৬ জানুয়ারী সুপ্রিয় মিত্র কাবুল এয়্যারবেসে ইউ এস এ্যাম্বাসির রান্নার শেফ হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। একইকাজে সানু গনসালভেস যোগ দিয়েছিলেব ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে৷
শান্ত কাবুলকে চোখের সামনে ধীরে ধীরে অশান্ত হতে দেখেছে ওরা। তালিবানরা ধীরে ধীরে আফগানিস্থান দখল করেছিল, সেই খবর প্রতিনিয়ত ওরা পাচ্ছিল। আতঙ্ক গ্রাস করছিল প্রতিদিন। গ্রেনেড হামলা বা বোমার আওয়াজ, আবার কখনও গুলির আওয়াজে মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গিয়েছে৷ একরাশ আতঙ্কের মধ্যেই ওরা দুজনেই দেশে ফিরেছে। সুপ্রিয় ২৮ জুলাই ও সানু ৪ অগাস্ট। উৎকণ্ঠা আর দুঃখ নিয়ে দেশে ফিরেছে। টিভি আর সামাজিক মাধ্যমে নিজের কর্মস্থলের ছবি দেখে এখন ওঁরা আতকে উঠছে। প্রার্থনা করছে আটকে থাকা ভারতীয়দের জন্য। চোখের জলে আটকে থাকা সবার জন্য প্রার্থনা করছে ওদের পরিবারের লোকজন।