কলকাতা: লড়াইটা যখন শিকড়ের খোঁজে শুরু হয়েছে, কতদিন আর মানুষ নিজেকে এর থেকে তফাতে রাখবে। এক্ষেত্রেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে। যাদবপুর অঞ্চলের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামল কুমার মিশ্রা এবং কসবা অঞ্চলের গৃহশিক্ষক শ্যামাদাস চট্টোপাধ্যায় একই দিনে দু’জনে হাজির হয়েছিলেন পাক সার্কাস ময়দানে৷ উভয় শিক্ষক নাগরিক আইনের বিরোধীতায় আন্দোলনরতদের সাথে যোগ দিলেন৷
দেশ বিভাগের মতন ঐতিহাসিক ঘটনা কথা উল্লেখ করে উত্তরপ্রদেশের মাটিতে বড় হয়ে ওঠা শ্যামল কুমার মিশ্রা জানালেন, স্বাধীনতার সময় এই দেশ বিভাজনের সাক্ষী হয়ে আছেন অনেকেই, বর্তমানে দেশের শাসক দল দ্বিতীয় বারের জন্য নাগরিকদের মধ্যে ভেদাভেদ করে দেশ বিভাগের চেষ্টা করছে৷ কোনও মতেই এই কার্যকলাপকে ফলপ্রসু হতে দেওয়া যাবে না৷ একই বক্তব্য গৃহশিক্ষক শ্যামাদাস চট্টোপাধ্যায়েরও৷
তাঁর মতে সম্প্রীতি এবং ধর্মনিরপেক্ষতার দেশ ভারতবর্ষ। ধর্মকে শিখণ্ডী করে শাসক দলের স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ কোনমতেই মেনে নেওয়া যায় না৷ অন্য সকল আন্দোলনকারীদের মতো তিনিও মনে করেন, দেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এদিন স্কুল ছুটির পর তাই কোনো আগুপিছু চিন্তা না করেই নিজের অস্তিত্ব রক্ষার খাতিরেই পাক সার্কাসের আন্দোলন মঞ্চে উপস্থিত হন শিক্ষক শ্যামল কুমার বাবু।