কলকাতা: কলকাতা পুরভোটে সকাল থেকেই ঘটনার ঘনঘটা৷ ব্রেবোর্ন রোডে জৈন স্কুলের বুথ থেকে মেরে বার করে দেওয়া হল কংগ্রেস প্রার্থীর এজেন্টদের৷ অভিযোগের তীর তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে৷ হাতাহাতি থেকে রীতিমতো মারপিট শুরু হয়ে যায় বুথের ভিতরে৷ সন্তোষ পাঠকের নির্বাচনী এজেন্ট অমিতাভ চক্রবর্তীকে মাটিতে ফেলেই চলল কিল, চড়, লাথি৷ ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ নং ওয়ার্ডের কংগ্রেস এজেন্ট৷ আর সবটাই ঘটল পুলিশের উপস্থিতিতে৷ এই ঘটনায় ভোট কেন্দ্রেই অবস্থানে বসে পড়েন কংগ্রেস প্রার্থী৷ দুই দলের সংঘাতে ধুন্ধুমার কণ্ড ব্রেবোর্ন রোডে৷
আরও পড়ুন- ৯ বুথে এজেন্টই দিতে পারলেন না সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন তনিমা
কলকাতা পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠকের অভিযোগ, ‘এখানে বাইরে থেকে লোক এনে ভোট করানো হচ্ছে৷ ৪ জনকে আমরা ধরেছি৷ পুলিশকে অ্যারেস্ট করতে বলেছি। বুথের সামনেই ২ জনকে ঘিরে ফেলেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।
এই উত্তাপের আবহেই ঘটনাস্থলে হাজির হন ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শক্তিপ্রতাপ সিংহ। তিনিও পাল্টা কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠকের বিরুদ্ধে বেআইনি জমায়েতের অভিযোগ তোলেন। এর পর কথাকাটাকাটির মধ্যেই ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় দু’পক্ষের মধ্যে।
গোটা ভোট কেন্দ্রে ব্যাপক গন্ডোগোল শুরু হয়৷ বাইরে থেকে বেশ কয়েকজন যুবক বুথে ঢুকে এসে মারপিট শুরু করেন৷ মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের গন্ডোগোল বাধে৷ কিছুক্ষণ আগে কংগ্রেসের কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের মারধর করে বলে অভিযোগ৷ এর পরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ ভোট কেন্দ্রে রীতিমতো ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে৷ বুথের ভিতরে শুরু হয় দুই দলের তাণ্ডব৷ অথচ পুলিশ অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে৷ বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ কিছুটা সক্রিয় হয়৷ তবে এই কেন্দ্রে সুষ্ঠ ভাবে ভোট প্রায় অসম্ভব৷ কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে৷
এদিন দেখা যায় এই কেন্দ্রে ভোটারদের রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷ তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল৷ রীতিমতো তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে৷ আর সবটাই ঘটে চলেছে পুলিশের নাকের ডগায়৷ এখানে যে পরিমাণ পুলিশ উপস্থিত রয়েছে, তাতে চাইলে তারা প্রথম থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারত৷ কিন্তু সেই চেষ্টা তাদের মধ্যে দেখা যায়নি৷ তবে এদিন অশান্তির দায় কোনও দলই এড়াতে পারে না৷ একবার দেখা যায় বুথে একদল ছেলে নিয়ে ঢুকে পড়ছেন বিজেপি প্রার্থী৷ আবার কখনও অমিতাভ চক্রবর্তীর সঙ্গে বুথে ঢুকে পড়ছেন কংগ্রেসের কর্মীরা৷ রাজনৈতিক দলগুলির দাপটে রীতিমতো সন্ত্রস্ত গোটা অঞ্চল৷