নয়াদিল্লি: কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বাংলায় করোনাভাইরাস হাসপাতাল তৈরি করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সেই কথা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বহরমপুর এবং কল্যাণীতে জোড়া করোনা হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু করে দিলো ডিআরডিও। জানা গিয়েছে পিএম কেয়ার তহবিল থেকে ৪১.৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
অধীর রঞ্জন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে বহরমপুরে ৫০০ বেডের একটি অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল তৈরি করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তখন প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন যে দ্রুত তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে একটি বড় অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল তৈরি করা হবে। সেই কথা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ইতিমধ্যে রাজ্যে দুই জায়গায় অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে ডিআরডিও বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে কথা ছিল বহরমপুরে হাজার বেডের একটি অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল তৈরি হবে। কিন্তু যে জমি হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ হয় তাতে আড়াইশো বেডের হাসপাতাল তৈরি করা সম্ভব হত। সেই কারণে শুধু বহরমপুরে নয়, কল্যাণীতেও একটি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি অধীরের অনুরোধ ছিল মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে একটি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করার। ইতিমধ্যেই সেই প্লান্ট তৈরি করে দিয়েছে ডিআরডিও।
PM CARES Fund Trust has decided to allocate Rs 41.62 crores for establishment of two 250 bedded makeshift COVID Hospitals by DRDO at Murshidabad and Kalyani, West Bengal. For this, certain infrastructural support would also be provided by State Govt and Union Health Ministry: PMO
— ANI (@ANI) June 16, 2021
রাজ্যে যখন করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ে চারিদিকে হাহাকার তখন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী নিজের লোকসভা কেন্দ্রে অক্সিজেন প্লান্ট এবং হাসপাতাল তৈরি অনুরোধ জানান। সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতেই প্লান্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে এবং এখন হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই পদক্ষেপ রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে আরও মজবুত করবে অবশ্য ভাবে। তবে দুটি হাসপাতাল তৈরি হওয়ার ব্যাপারেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কারণ লাগোয়া দুটি জেলায় একই রকম দুটি হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। কেন এই রূপ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো সেই নিয়েই কৌতুহল।