কাঁথি: উলট পুরাণ! ২৪ ঘণ্টা আগেও পরস্পরকে আক্রমণ করছিলেন৷ বিজয়া সম্মিলনীকে কেন্দ্র করে একে অপরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছিলেন কাঁথি দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তরুণ জানা এবং কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি৷ যার জেরে অনেকেই বলছিলেন, ‘সাপ-নেউলে’ সম্পর্কের কথা৷
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ঠিক অন্য চিত্র ধরা পড়ল। কাঁথি থানার শিব কালী মন্দির পুজো কমিটির উদ্দ্যোগে মণ্ডপের দ্বার উদঘাটন ও বস্ত্র বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মঞ্চে ওই দুই নেতাকে দেখা গেল পাশাপাশি৷ এবং সেখানে দু’জনেই পরস্পরের প্রশংসাও করলেন৷
কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তরুণ কুমার জানা বলেন, “আমাদের সব থেকে বড় পরিচয় হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। আমাদের মধ্যে নীতির পার্থক্য থাকতে পারে, সমস্যা থাকতে পারে। সেটা মিটিয়ে ফেলতে হবে। সংসারে সমস্যা হয়, সেটাও আবার মিটেও যায়।’’ পরে এবিষয়ে বলতে উঠে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরিকেও গদগদ কন্ঠে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমরা কাউকে কাদা ছোঁড়াছুড়ি করিনি৷ একটা অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবৃতি দিয়েছি৷’’
তরুণবাবুর মুখে শোনা গিয়েছে, ‘‘অেক সময় কিছু বিতর্ক উঠে আসে। যখন দেখব, কোনও সংগঠনের নেতৃত্ব এলাকায় যাচ্ছেন সেখানকার কোনও নেতৃত্ব জানতে পারছেন না, তখনই মানুষের মনে ক্ষোভ জন্ম হয়। আর কোন সমস্যা নেই৷’’ সুপ্রকাশও বলেছেন, ‘‘আমরা তো রাজনৈতিক ভাবে আলাদা নই। আমরা একই দল করি। কে কি বলল তাতে কিছু এসে যায় না।’’ সম্প্রতি দুটি ক্লাবের পুজোকে কেন্দ্র করে গোলমালে জড়িয়েছিলেন দুই নেতা৷ পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে হাজারও বিষেগাদারও করেছিলেন৷ ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তাঁদের ১৮০ ডিগ্রি বদল দেখে নিন্দুকেরা অবশ্য টিপ্পনি কেটে বলছেন, ‘‘মাসতুতো ভাই!’’