ওয়েব সিরিজের নামে পর্ন ভিডিয়োর শ্যুট, খাস কলকাতায় পর্নোগ্রাফি পর্দা ফাঁস

ওয়েব সিরিজের নামে পর্ন ভিডিয়োর শ্যুট, খাস কলকাতায় পর্নোগ্রাফি পর্দা ফাঁস

কলকাতা: মাস খানেক আগের ঘটনা৷ পর্নোগ্রাফি ছবি বানানোর অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল বাণিজ্যনগরী মুম্বই৷ কাঠগড়ায় উঠেছিলেন অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির স্বামী রাজ কুন্দ্রা৷ এবার খাস কলকাতার বুকে মিলল পর্নোগ্রাফি চক্রের হদিশ৷ ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার নামে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দিয়ে শ্যুট করানো হচ্ছিল নীলছবি৷ 

আরও পড়ুন- বাংলায় বিপন্ন গণতন্ত্র! বিধানসভায় অধ্যক্ষের সামনেই তোপ রাজ্যপালেন

রাজারহাট এলাকায় রমরমিয়ে চলছিল পর্নোগ্রাফির এই চক্র৷ শোভাবাজারের বাসিন্দা বছর ২১ এর যুবক রাজদীপ হাজরার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই চক্রের চাঁই ভাঙতে নামে পুলিশ৷ তিনি জানান, ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কম বয়সী ছেলেমেয়েদের আটকে রাখা হচ্ছে৷ পর্ন ছবিতে অভিনয় করার জন্য তাঁদের বাধ্য করা হচ্ছে৷ সমান তালে চলছে শারীরিক নির্যাতন৷  

রাজদীপ জানান, হাজরা পাড়ার মাঠে খেলতে যাওয়ার সময় নাসিব আখতার নামে এক ব্যক্তির  সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়৷ তিনি তাঁকে ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের সুযোগ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন৷ এর পর নসির তাঁকে রাজারহাটের একটি হোটেলি নিয়ে যান৷ সেখানে তাঁকে জোড় করে আটকে রেখে পর্ন ছবিতে অভিনয় করতে বাধ্য করা হয়৷ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাঁর উপর অকথ্য শারীরিক অত্যাচার করা হয় বলেও অভিযোগ রাজদীপের৷ ছিনিয়ে নেওয়া হয় তাঁর মোবাইল ফোন৷ যাতে কারও সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করতে না পারেন৷ রাজদীপের অভিযোগ, তাঁর মতো মহু ছেলেমেয়েকে এই ভাবে জোড় করে পর্নোগ্রাফি ছবিতে অভিনয় করতে বাধ্য করা হচ্ছে৷ রাজারহাটের ওই হোটেল থেকে কোনও ভাবে পালিয়ে এসে বেলঘড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি৷

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও কলকাতায় নীল ছবির পর্দা ফাঁস হয়েছে৷  নিউটাউন পর্ন কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় নন্দিতা দত্ত ও তাঁর সঙ্গী মৈনাক দত্তকে৷  অভিযোগ, মডেলদের ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রথমে নেশা করানো হয়৷ তার পর তাঁদের দিয়ে জোর করে পর্ন ছবির শ্যুট করতে বাধ্য করা হত।  বিভিন্ন স্টুডিওয় তল্লাশি চালিয়ে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত-সহ মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  এবার নাসিব আখতারকে দ্রুত গ্রেফতারে আর্জি জানিয়েছেন অভিযোগকারী।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *