কলকাতা: উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলে শোরগোল ফেলেছেন বিজেপি সাংসদ জন বার্লা৷ এই বির্তকের ধোঁয়া কুণ্ডলী পাকানোর মাঝেই বাংলার মানুষের চাকরি এবং উন্নয়নের দাবিতে জঙ্গলমহলকে আলাদা রাজ্য করার আওয়াজ তুলেছেন সৌমিত্র খাঁ৷ যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি৷ এরই মধ্যে ক্রমশ জোড়াল হচ্ছে বার্লার কণ্ঠ৷ তাঁক সমর্থনে সরব হলেন আরও দুই বিজেপি সাংসদ মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির আনন্দময় বর্মন ও ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির শিখা চট্টোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে এক সদস্যের কমিটি গঠন! ভাবনা হাইকোর্টের
বার্লার সুরে সুর মিলিয়ে এই দুই সাংসদের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি একেবারেই সঙ্গত৷ উত্তরবঙ্গ বারবারই বঞ্চিত৷ দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলার এই ই বিধায়কের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গে উন্নয়নে কোও কাজই করেনি রাজ্য সরকার৷ শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আইওয়াশ করার জন্য এখানে ‘উত্তরকন্যা’ তৈরি করা হয়েছে৷ এখানে আড্ডা ছাড়া কোনও কাজই হয় না৷ উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করা হলেই একমাত্র উন্নয়ন সম্ভব৷’’
অন্যদিকে, আনন্দময় বর্মনের বক্তব্য, ‘‘উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি এখানকার মানুষের৷ মানুষের দাবিই তুলে ধরেছেন আমাদের সাংসদ৷ পৃথক রাজ্য হলে এখানে উন্নয়ন হবে৷ এতে অসুবিধা কোথায়?’’ যদিও এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে চাননি শিলিগুড়ির বিজেপি সাংসদ শঙ্কর ঘোষ৷ তাঁর বক্তব্য, ‘‘দলীয় স্তরে এ বিষয়ে আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করতে চাই না৷’’ তবে তাঁ মুখেও একই কথা৷ উন্নয়নের নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গ৷ তবে পৃথক রাজ্য হলেই এই সমস্যার সমাধান হবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা করবে দল৷
বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তবে বার্লার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, এটা দলের সিদ্ধান্ত নয়৷ ওঁনার ব্যক্তিগত মতামত৷ দল বাংলা ভাগের পক্ষে নয়৷