যমজ ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা বাড়ছে! মে মাস নিয়ে আতঙ্কে কাঁটা আবহাওয়াবিদরা

যমজ ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা বাড়ছে! মে মাস নিয়ে আতঙ্কে কাঁটা আবহাওয়াবিদরা

কলকাতা: আক্ষরিক অর্থে গোদের ওপর বিষফোঁড়া। ‘অশনি’ নিয়ে প্রথম থেকেই চিন্তা ছিল এবার জানা গেল প্রায় একই সময়ে আরও একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে চলেছে। এই মে মাসেই আছড়ে পড়েছিল আমফান, যশের মতো ঘূর্ণিঝড়। চলতি বছর এই একই সময়ে জোড়া ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। তাহলে কি বিপুল ক্ষয়ক্ষতি অপেক্ষা করছে, নাকি খুব বেশি ক্ষতি করতে পারবে না এই ঝড় দুটি? এই প্রশ্ন উত্তর আপাতত মিলছে না।

আরও পড়ুন- বিনা বিচারেই কি মুক্তি হবে পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ মামলার মূল অভিযুক্তের?

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ‘টুইন সাইক্লোন’-এর একটি জন্ম নিয়েছে ভারত মহাসাগরে এবং অন্যটি বঙ্গোপসাগরে। তবে কি জোড়া ঘূর্ণিঝড় প্রচণ্ড শক্তি বাড়িয়ে আক্রমণ করবে? আপাতত তেমনটা মনে করছেন না আবহাওয়াবিদরা। তাদের বক্তব্য, অনেকগুলি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে যে ঘূর্ণিঝড় আদৌ শক্তিশালী হবে কিনা। এক্ষেত্রে আবার একটি অন্যটির ওপরেও নির্ভর করবে। তাই এখন থেকে কিছুই বলা সম্ভব নয় সেইভাবে। তবে পরিস্থিতি যে দিকে যাওয়ার কথা বলে অনুমান করা হচ্ছে তাতে খুব বড় প্রভাবে ফেলতে পারবে না এই ঝড় দুটি। আবার এও বলা এই মুহূর্তে সম্ভব নয় যে এটি নিম্নচাপ হয়েই থেকেই যাবে, নাকি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। পাশাপাশি এও সম্ভাবনা প্রবল যে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ‘অশনি’ উত্তর-পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে বাংলাদেশ চলে যাবে।

তবে আইএমডি জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে তা আগামী ৭ মে রাতের পর থেকে ক্রমশ এগোতে শুরু করবে এবং ৮ তারিখ নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর ১০ মে’র মধ্যে তা ধীরে ধীরে এগোতে থাকবে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলে। পরবর্তী সময়ে তা সেখানেই আছড়ে পড়তে পারে। এছাড়াও তাদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১০ থেকে ১৩ মে উপকূলীয় বাংলার বিভিন্ন জেলায় হতে পারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি এবং তার সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 2 =