‘টুইট যুদ্ধে’ লিপ্ত হয়েছিলেন অভিষেক-শুভেন্দু! শেষে ‘মিলিয়ে’ দিল ISRO

‘টুইট যুদ্ধে’ লিপ্ত হয়েছিলেন অভিষেক-শুভেন্দু! শেষে ‘মিলিয়ে’ দিল ISRO

tweet war

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন করে কলকাতা শহরে নানা জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ইডি। এই ইস্যুতে ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র অফিস, তাঁর মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাটেও গিয়েছিল তারা। এই তল্লাশি অভিযানের পর বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইডি যেখানে নাম রয়েছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর এই নিয়েই পরবর্তী কিছু সময়ের জন্য সরাসরি তরজায় জড়িয়ে পড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। লাগাতার টুইটে একে অপরকে আক্রমণ করেন তারা। উঠে আসে নারদা প্রসঙ্গও। কিন্তু দিনের শেষে ইসরো তাদের ‘মিলিয়ে’ দেয়। 

ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রথমে টুইট করে বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ”আমি একজনের স্মৃতি একটু তাজা করে দিতে চাই, যিনি বার বার বলেছেন, তদন্তকারী সংস্থা যদি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পায় তাহলে তিনি স্বেচ্ছায় ফাঁসির মঞ্চের দিকে যাবেন। বাংলার মানুষ তাঁর এই সমস্ত কথা ধর্তব্যের মধ্যে ধরেন না। আপনার ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার দরকার নেই। তার চেয়ে বরং তদন্তকারী সংস্থার অফিসে যান।” বলাই বাহুল্য তিনি কার উদ্দেশ্যে এই টুইট করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই পাল্টা টুইট করে তার জবাব দেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

নারদ স্ট্রিং অপারেশনে শুভেন্দুর ছবি দিয়ে টুইট করে অভিষেক লেখেন, ”আশা করি আপনার বিবেক জাগ্রত করার জন্য এই ছবিটি যথেষ্ট। আমি কি আপনাকে জিজ্ঞেস করতে পারি, আপনি কবে তদন্ত সংস্থার দফতরে যাবেন?” অভিষেকের টুইট আসার কিছুক্ষণ পর আবার টুইট করেন শুভেন্দু অধিকারী।

তাতে তিনি সরাসরি লেখেন, ”আপনার কাকা ফিরহাদ হাকিম, দাদু সৌগত রায় আর পিসি কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করুন। যে ছবি টুইট করেছেন তাতে কেবল আমাকে খবরের কাগজ হাতে দেখা যাচ্ছে।” 

এখানেও থামেনি টুইট যুদ্ধ! বরং আবার পাল্টা টুইট করে অভিষেক লেখেন, ”নারদকাণ্ডের এফআইআরে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের সবার বিরুদ্ধে তদন্ত হোক।” এখানে তিনি ইডি এবং প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের হ্যান্ডলকে উল্লেখও করেন।

তবে সব তর্ক শেষ হয়ে যায় চন্দ্রযান ৩ ল্যান্ডিং সাফল্যের জন্য। সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে ভারত ইতিহাস তৈরির পর এই ‘যুদ্ধ’ এগোয়নি। দুই নেতাই ইসরো এবং ভারতবাসীকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানান।   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen + 9 =