নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষক ও তার সাগরেদের বিরুদ্ধে। ১৪ বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ৷ বারাসত পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষ পল্লী এলাকার ঘটনা৷ গৃহশিক্ষক বিপুলচন্দ্র বিশ্বাস ও তার সাগরেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে৷
অভিযোগ এক আইনজীবীর বাড়িতে বার্থ সার্টিফিকেট জোগাড় করতে যাওয়ার ছলে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও রেকর্ডিং করা হয় বলে অভিযোগ৷ এরপর ওই ভিডিও দেখিয়ে নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেল করা হত বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার অভিযোগ তাদের পাড়ার কাছে চিকেন মোড়ে একটি বাড়িতে তাকে নিয়ে যাওয়া হত। সেখানে তাকে ধর্ষণ করত শিক্ষক ও তার বন্ধু৷ ঘটনার কথা এলাকার লোকজন জানতে পারলে চড়াও হয় ওই গৃহশিক্ষকের বাড়িতে। তাকে বাড়ি থেকে বের করে এনে উত্তম মধ্যম দেন স্থানীয়রা৷ ক্ষুব্ধ জনতা ভাঙচুর চালায় অভিযুক্তের বাড়িতে। পরে পুলিশ গিয়ে ওই গৃহশিক্ষককে উদ্ধার করে। তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের পরই তার স্ত্রী দাবী করেন, তার স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে। তার দাবি তার স্বামী এলাকায় বিজেপি কর্মী। সেই অপরাধেই নাবালিকাকে দিয়ে মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে শাসক দল৷ তিনি বারবার বলতে থাকেন তাঁর স্বামী এই অপরাধ করেছেন, তা তিনি মানতেই পারেন না।
অন্যদিকে বারাসত পুরসভার ৩৩ নং ওয়ার্ডে তৃণমুলের আহ্বায়ক মিলন সর্দার বলেন, বিজেপির জঘন্য কাজ করাই সংস্কৃতি। তিনি বলেন, নাবালিকার প্রতি এধরণের অপরাধ একমাত্র বিজেপি কর্মীরাই করতে পারে৷ এলাকার লোক জানে বিপুলচন্দ্র বিশ্বাস কি করেছে। তিনি বলেন, ঘটনায় দোষীর সাজা হবেই৷ গণধর্ষণের অভিযোগে গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করা হলেও এখনও আরেকজন অধরা৷ রাতেই পুলিশ আর এক অভিযুক্তের জন্য তল্লাশি শুরু করেছে৷ তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ঘটনা সাজানো হয়েছে বলে মনে করেন এলাকাবাসীর একাংশ৷