কোচবিহার: স্থানীয় নেতার হত্যার প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকল বিজেপি। বৃহস্পতিবার কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ শহরে জাতীয় রাজপথ অবরোধ করে দলের সমর্থকরা। প্রসঙ্গত বুধবার বিজেপির জেলা শাখা তৃণমূলকে স্থানীয় নেতা কালাচাঁদ কর্মকার হত্যার জন্য অভিযুক্ত করেছে এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।
তবে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব অভিযোগটি অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি তুফানগঞ্জের স্থানীয় ক্লাবের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তখনই খুন হন ওই নেতা। এই ঘটনার পর বিজেপির তরফে অবরোধ ডাকা হয়। কিন্তু তৃণমূলের কর্মীরা সবকিছু খোলা রাখার চেষ্টা করেছিলেন। অন্যদিকে বিজেপি সমর্থকরা সকাল থেকেই দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তুফানগঞ্জের মহকুমায় বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক একে অপরের মুখোমুখি হওয়ার পর যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা দেখতে পুলিশ এবং ব়্যাফ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে অবরোধেও সরকারি বাসগুলি মহকুমায় চলাচল করেছে। তবে বেসরকারি বাস এবং অটোরিকশার মতো অন্যান্য পাবলিক ট্রান্সপোর্ট খুব অল্প সংখ্যক ছিল।
বিজেপি সমর্থকরা তুফানগঞ্জ শহর পার হয়ে জাতীয় সড়কপথের একটি সড়ক অবরোধ করেছিলেন। যার ফলে আসাম ও শিলিগুড়ির দিকে দু’দিকেই পণ্য পরিবহণকারী যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গিয়েছে। পরে পুলিশ সড়ক অবরোধ সরিয়ে মহাসড়কে ট্র্যাফিক চলাচল পরিস্কার করে বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বিজেপির যে সমর্থক খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ তিনি হলেন বুথ সচিব কালাচাঁদ কর্মকার (৫৫)। জানা গিয়েছে দুটি ক্লাবের সংঘর্ষকারী সদস্যদের শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। এই সময় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।