আগরতলা: পুলিশের কাজে বাধা দান, অভব্য ব্যবহার সহ একাধিক অভিযোগে এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূল নেতা দোলা সেন, কুণাল ঘোষেদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল ত্রিপুরা পুলিশ৷ মঙ্গলবার গভীর রাতে খোয়াই থানার তরফে এই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে৷ বুধবার সকালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে৷
রবিবার ত্রিপুরার মাটিতে দাঁড়িয়েই অভিষেক অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘এখানে (ত্রিপুরায়) আইনের শাসন নেই৷ শাসকের আইন চলছে৷’’ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘ত্রিপুরা কি মঙ্গলগ্রহ নাকি? সারা ভারতে এক আইন, আর এখানে আলাদা৷ গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে৷ ১৭ মাস পর আমরা এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবই করব৷ এখানে আর বিপ্লব দেবের আইন চলবে না৷ ১৭ মাস পর নতুন সরকার, মানুষের সরকার গঠিত হবে৷’’
গত শনিবার ত্রিপুরায় বিজেপির হাতে আক্রান্ত হন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তরা। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার রাত থেকেই ত্রিপুরার খোয়াই থানায় অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করছিলেন তাঁরা৷ অভিযোগ, আক্রান্তকারীদের গ্রেফতারের পরিবর্তে রবিবার সকালে তাঁদেরকেই আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ ঘটনার প্রতিবাদে ত্রিপুরা থানায় আইসির চেম্বারে অবস্থানে বসেন অভিষেক৷
পুলিশের তরফে এফআইআরে অভিযোগ করা হয়েছে, থানায় অবস্থানের নামে পুলিশের কাজে বাধা দান, পুলিশের সঙ্গে অভব্য ব্যবহার করা হয়েছে৷ যদিও তৃণমূল শিবিরের দাবি, সেদিন থানার বাইরে অভিষেককে যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, যাঁদের হাতে ছাত্র নেতারা প্রহৃত হলেন তাঁদের কাউকেই তো গ্রেফতার করা হল না, কোনও মামলা দেওয়া হল না? এর থেকেই স্পষ্ট, ত্রিপুরায় বিজেপির হয়ে কাজ করছে পুলিশ৷ পুলিশের এই পদক্ষেপের পাল্টা হিসেবে ত্রিপুরায় তৃণমূল কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে এখন সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷