বনগাঁ ও কালিয়াগঞ্জ: ফের বিজেপির দখলে থাকা দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল৷ ঘটনার জেরে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ এবং উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে৷ যদিও বিজেপির অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে জেলায় জেলায় গায়ের জোর খাটিয়ে পঞ্চায়েতের দখল নিচ্ছে বিজেপি৷ যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল৷
বিজেপি পরিচালিত বনগাঁ চৌবেড়িয়া২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে এদিন ছিল অনাস্থা ভোট৷ বনগাঁ চৌবেড়িয়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা ১৫। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি-৮, তৃণমূল -৭ টি আসন পেয়েছিল৷ পঞ্চায়েত দখল করেছিল বিজেপি। পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্য মারা যান৷ বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য ৬ জন৷ অন্যদিকে বিজেপির- ৮জন । অভিযোগ, এদিন অনাস্থার ভোটাভুটিতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে ভোট দান করেন বিজেপির ২ জন পঞ্চায়েত সদস্য৷ ফলে সংখ্যা গরিষ্ঠতা হারায় বিজেপি৷
বিজেপির দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে গায়ের জোরে তৃণমূল কংগ্রেস অনাস্থা ভোটাভুটি সম্পন্ন করল। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই৷ আজ আবার সেটা প্রমাণ হল৷ যদিও গোপালনগর-২ নং ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিশীথ বালা জানিয়েছেন, ‘‘নিয়ম মেনেই ভোটাভুটি হয়েছে৷ আদালতের কোনও নির্দেশ লঙ্ঘন করা হয়নি৷’’ অন্যদিকে বিরোধীদের অনুপস্থিতেই বিনা ভোটাভোটিতেই কালিয়াগঞ্জের মালগা পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হলেন নীলিমা রাউ। মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ১০ নম্বর মালগা গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন প্রধান নির্বাচন সভা অনুষ্ঠিত হয়। কালিয়াগঞ্জ ব্লক প্রশাসনের ব্যবস্হাপনায় ও কড়া পুলিশি প্রহরায় এদিন প্রধান নির্বাচন সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯ সদস্য বিশিষ্ট মালগা গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন প্রধান নির্বাচন সভায় ১১ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন৷ যার মধ্যে ৭ জন তৃণমূলের, ৩ জন কংগ্রেসের এবং বিজেপির একজন পঞ্চায়েত সদস্য৷ নতুন প্রধান নির্বাচনের খবর আসতেই পঞ্চায়েতের বাইরে উপস্থিত তৃনমূল নেতাকর্মীরা সবুক আবির মেখে উল্লাসে মেতে ওঠেন। গত ১৮ অগাস্ট কালিয়াগঞ্জের এই মালগা পঞ্চায়েত বিজেপি প্রধান কলাবতী রায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করে তৃণমূল। ১৯ সদস্য বিশিষ্ট মালগা পঞ্চায়েতের ১১ জন সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে এই অনাস্থা এনেছিল।