হরিশ্চন্দ্রপুর: কর্মীদের দলে ফেরানোকে ঘিরে ফের শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলে এল প্রকাশ্যে৷ ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে৷
জানা যায়, হরিশ্চন্দরপুরের তুলসিহাটা অঞ্চলের অধীনে বড়ল গ্রামে অঞ্চল সভাপতি মনোজ রামের নেতৃত্বে একটি সভার আয়োজন করা হয়৷ সেই সভা থেকে প্রকাশ্যে হুঙ্কার দেওয়া হয় বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে দল ছেড়ে চলে গিয়েছিল কিংবা নিষ্ক্রিয় ছিল তাদেরকে দলে ফেরানো হবে না। কিংবা ফেরানো হলেও তাঁদেরকে আপাতত নেতৃত্ব স্থানীয় রাখা হবে না।
আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দলের একাংশের দাবি, অঞ্চল সভাপতি নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত। চাকরি দেওয়ার নাম করে ইতিমধ্যেই প্রায় তুলসিহাটা অঞ্চল সহ হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫০ জন ছেলে মেয়ের কাছ থেকে টাকা তুলেছেন। কিন্তু চাকরি দিতে পারেন নি। দলের মধ্যেই অনেক কর্মী এর প্রতিবাদ করায় তিনি তাদেরকে নিষ্ক্রিয় কর্মী বা দল ত্যাগী বলে দাবি করছেন। তুলসিহাটা অঞ্চল কর্মীরা অঞ্চল সভাপতিকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে দাবি করেছেন।
দলের একাংশ নেতৃত্বের অভিযোগ, এই মনোজ রামের অত্যাচারেই তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের ব্লক ওয়ার্কিং সভাপতি দিল রোজ বিধানসভা ভোটে নিষ্ক্রিয় ছিলেন। এবং শুভেন্দু অনুগামী বলে নিজেকে দাবিও করেছিলেন। তাই বর্তমানে দল ভাল অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও তাকে দলে গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হবে না বলে দাবি তুলছেন অঞ্চল সভাপতির অনুগামীরা।
অন্যদিকে তুলসিহাটা অঞ্চলের তৃণমূল কর্মীদের একাংশের দাবি, ওই সংখ্যালঘু সেলের নেতা দিল রোজ বিগত বিধানসভায় দলের হয়ে ভালই প্রচার করেছিলেন৷ সেকারণেই এলাকা থেকে তিনটি বুথে দল লিড পেয়েছিল। এমনকি এই বিধানসভা থেকে শাসকদলের জন-প্রতিনিধির নিহার রঞ্জন ঘোষ নির্বাচিত হয়েছিলেন। আসলে অঞ্চল সভাপতি মনোজ রাম দুর্নীতিগ্রস্ত। চাকরি দেওয়ার নাম করে ইতিমধ্যে এলাকায় প্রচুর টাকা তুলেছেন। ওনার নামে অভিযোগ হয়েছে দলের অভ্যন্তরে। এখন দলের অভ্যন্তরে ওনার বিরোধিতা যারা করছে তাদের বিরুদ্ধেই তিনি উল্টে অভিযোগ আনছেন। দল সব জানে। যদিও দলীয় কোন্দল সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূলের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক সভাপতি মানিক দাস৷ তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে৷