‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির জেরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির জেরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

গারুলিয়া: ফের একবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। গারুলিয়া পুরসভার নতুন বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ঘোষণা হওয়ার পর প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবি। মঙ্গলবার গারুলিয়া পৌরসভার নতুন বোর্ড গঠন করা হয়। সেখানে আগের প্রশাসক তৃণমূলের সঞ্জয় সিংকে সরিয়ে তৃণমূল রমেন দাসকে পুর প্রশাসক করা হয়।

এরই বিরোধিতা করে মঙ্গলবার তৃণমূলের কর্মীরা দলীয় পতাকা ও কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গারুলিয়া পুরসভার সামনে। এতদিন পর্যন্ত গারুলিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন সঞ্জয় সিং  ওরফে নান্নে। তার পরিবর্তে ওই পদে বসানো হয়েছে রমেন দাসকে। এটা মেনে নিতে পারছে না সঞ্জয় সিংহ ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের দাবি, এই রমেন দাস কিছুদিন আগে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এতদিন বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী চন্দ্রমণি শুক্লার  হয়ে প্রচার করেছিলেন।

রমেন দাস  দলে যোগ জেওয়ার সময়ও তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল তৃণমূল কর্মীরা। তাদের দাবি, সঠিক যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচন করুক সরকার৷ যে ছিল তাকেই বসানো হোক। যদিও রমেন দাসের এবিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷ তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, ক্ষমতা খুইয়ে সঞ্জয় সিং নিজের অনুগতদের দিয়ে এই বিক্ষোভ সংগঠিত করেছেন৷

সূত্রের খবর, শুধু গারুলিয়া পুরসভা নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি চালু হওয়ার জেরে সারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বহু পদাধিকারিককে খোয়াতে হয়েছে একের অধিক পদ৷ তার জেরে জেলায় জেলায় সামনে আসছে ক্ষোভ বিক্ষোভের ছবি৷ তবে এভাবে প্রকাশ্যে বিক্ষোভ দেখানোর বিষয়টিকে দল যে বরদাস্ত করবে না তা স্পষ্টভাবে আগেই জানিয়েছিলেন জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *