‘তৃণমূল মানেই গরু চোর এনামুল আর কয়লা চোর লালা’, চাঁচাছোলা আক্রমণ শুভেন্দুর

‘তৃণমূল মানেই গরু চোর এনামুল আর কয়লা চোর লালা’, চাঁচাছোলা আক্রমণ শুভেন্দুর

জয়পুর:  একুশের নির্বাচনের আগে বাড়তে শুরু করেছে রাজনীতির উত্তাপ৷ সেই উত্তাপ আরও বাড়ছে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে৷ বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার জয়পুর থেকে এনামুল-লালা আর বিনয় মিশ্রের নাম তুলে তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেন শুভেন্দু অধিকারি৷ 

আরও পড়ুন- ধর্মকে সামনে রেখে লড়ে বিজেপি, তৃণমূল লড়ে কর্মকে সামনে রেখে: অভিষেক

এদিন জয়পুরের মঞ্চ থেকে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, ‘‘তৃণমূল মানেই এনামুল গরু চোর আর তৃণমূল মানেই রঘুনাথপুরের কয়লা চোর লালা৷’’ সুর চড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, ২০১৫ সালে আমাকে এখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বাঁকুড়ার বালি আর পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের কয়লা চুরি করার জন্যে৷ আর এখন দুর্গাপুর মেডিক্যাল কলেজে সিবিআই হানা৷ তোলাবাজ ভাইপোর পিএ’র বাড়িতে হানা৷ চারিদিকে হানা চলছে৷ লালার কুকীর্তি ফাঁস হয়ে গিয়েছে৷  

তিনি বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে আমার দিকে আঙুল তোলা হয়েছিল৷ বলা হয়েছিল শুভেন্দু ঘুষখোর৷ কে আসল ঘুষখোর? আমি দেখিয়ে দিয়েছি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের কোন ব্রাঞ্চে লালাবাবুর টাকা যেত৷ ওই টাকা যেত ম্যাডার নারোলার অ্যাকাউন্টে৷ এই ম্যাডাম নারোলাটা কে? গত লোকসভা ভোটে দমদম বিমানবন্দরে যিনি সোনা নিয়ে ধরা পড়েছিলেন, তিনিই ম্যাডাম নারোলা৷’’

শুভেন্দু আরও বলেন, ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পুরুলিয়ায় দাপিয়ে বেড়িয়েছে বিনয় মিশ্র৷ এখানকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন উনি৷ ছ’টা পুলিশের গাড়ি আগে পিছে থাকত৷ এসপি’রা তাঁকে স্যালুট করত৷ সেই বিনয় মিশ্রকে আজ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ সিবিআই-ইডি তাঁকে খুঁজছে৷ তাঁর একটি নয়, তিনটি পাসপোর্ট৷ 

আরও পড়ুন- ২৫০-র বেশি আসনে জিতবে তৃণমূল, দিল্লি থরথর করে কাঁপবে! আত্মবিশ্বাসী অভিষেক

২০১৩ সালে যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি হয়েছিলেন এই বিনয় মিশ্র৷ ২০২০-র ২৪ জুলাই মাসে তাঁকে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাত নম্বর সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল৷ তাঁর ‘গুণে’র কথাও এদিন ফাঁস করেন শুভেন্দু৷ তিনি বলেন, ‘‘পুরুলিয়া জেলার বয়স্ক নেতাদের বিনয় মিশ্রর পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে হত৷ পুরুলিয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের কান ধরে উঠবস পর্যন্ত করানো হতো৷ ভাইপো আসত বলে এখানে ২ ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ রাখা হত৷ অ্যাম্বুলেন্সও বন্ধ থাকত৷’’ 

শুভেন্দু বলেন, একদিন বিধানসভায় নেপাল মাহাতো বলেছিলেন আপনাদের ভাইপোকে ঘন ঘন যেতে বলুন৷ একবার গেলেই ১০ হাজার করে ভোট কমবে৷ লোকসভা নির্বাচনে সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে বলেও সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারি৷   

  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × three =