মালদহ: অবশেষে খবরের জেরে নড়েচড়ে বসল পুলিশ। বৃদ্ধাকে গলা টিপে মারধর করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত তিন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তদন্তে নামল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ঘটনাচক্রে এদিনই আক্রান্ত বৃদ্ধার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান৷ দলের তরফে কাটমানির টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে আশ্বাসও দেন বুলবুল৷ যদিও সে সময় বিজেপি কর্মীরা সেখানে হাজির হয়ে কাটমানির সরকার বলে স্লোগান শুরু করলে রীতিমতো রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়৷
আদিবাসী বৃদ্ধার গলা টিপে মারধর করে জোর করে ফিঙ্গার প্রিন্ট লাগিয়ে আবাস যোজনার ১২ হাজার টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের স্থানীয় তিন নেচতা সোনু ভাস্কর, রফিক আলম এবং নারায়ণ কর্মকারের বিরুদ্ধে৷ মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাইশা গ্রামের ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য৷ পরিস্থিতি সামলাতে তড়ঘড়ি মাঠে নামেন তৃণমূল নেতা বুলবুল খান৷ বৃদ্ধার সঙ্গে দেখা করেন৷ পাশাপাশি দলের তরফ থেকে টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে জানান। সঙ্গে সব রকম ভাবে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বুলবুল খান৷
তিনি দলের নেতাদের কাটমানি নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘‘এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেটা আমরা দেখব৷’’ প্রসঙ্গত, শাসকদলের বিরুদ্ধে বারংবার কাটমানির টাকা নেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছিল বিজেপি৷ দেরিতে হলেও তৃণমূল নেতা প্রকাশ্য সেকথা স্বীকার করে নেওয়ায় সুযোগ হাত ছাড়া করতে ছাড়েনি বিজেপি। তীব্র ভাষায় ঘটনার কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, ‘‘সবটাই লোক দেখানো৷ প্রকাশ্যে ফেঁসে যেতে এখন সাধু সাজার নাটক করা হচ্ছে৷ তাই পুলিশ এখনও অভিযুক্ত তিন যুব তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেনি৷’’ পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে৷ শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে৷