হাওড়ায় তৃণমূল নেতাকে খুনের পর ‘উল্লাস’, ‘খানা-পিনা’ অপরাধীদের! অবশেষে পর্দাফাঁস

হাওড়ায় তৃণমূল নেতাকে খুনের পর ‘উল্লাস’, ‘খানা-পিনা’ অপরাধীদের! অবশেষে পর্দাফাঁস

হাওড়া: সাঁকরাইলে তৃণমূলের মাইনরিটি সেলের নেতা ওয়াইজুল হক খান খুনের ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সাফল্য পেল পুলিশ। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রও। বুধবার দুপুরে ধৃতদের হাওড়া আদালতে তোলা হলে তাদের দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

পুলিশ ধৃতদের জেরা করে বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে৷ তবে খুনের মোটিভ এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রের দাবি৷ জানা গেছে, ঘটনার পর দুষ্কৃতীরা টোটোয় চেপে চলে এসেছিল সাঁকরাইলের একটি পরিত্যক্ত জায়গায়। সেখানে তারা আনন্দ উপভোগ, খাওয়া দাওয়া করছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ বাহিনী।  সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় শাহিদ পারভেজ, শেখ লাল্টু, মহম্মদ তৌফিক, রাজা রাম এবং রাজা কুমার পাসোয়ান নামের পাঁচ অভিযুক্তকে।

ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি আগ্নেয়াস্ত্রও। মঙ্গলবার রাতে এদের গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাদের হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হলে ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। হাওড়া জেলা সদরের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ জানান, ‘‘সুপারি কিলার দিয়ে পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে ওয়াইজুলকে।’’ অন্যদিকে, হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মাইনরিটি সেলের সভাপতি ইসলামুদ্দিন লালা জানান, ‘‘ওয়াইজুল হক খান হাওড়া পুরনিগমের ৪৫ নং ওয়ার্ডের সক্রিয় কর্মী। তিনি বিধানসভা নির্বাচনে জেতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিয়েছিলেন। পুর নির্বাচনের আগে তাই তাঁকে পরিকল্পনামাফিক খুন করল বিজেপি৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *