ডায়মন্ডহারবার: পুলিশের প্রয়োজন পড়ল না৷ নেতা নিজেই হাতে তুলে নিলেন আইন৷ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলে এক গৃহবধূ ও তার মেয়েকে মারধর করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ উঠল এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলের বিরুদ্ধে। পাশাপশি সালিশি সভা বসিয়ে জরিমানার আদায়েরও অভিযোগ উঠেছে অভিযুক্ত ওই প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা কো-অর্ডিনেটরের বিরুদ্ধে। এমনকি আক্রান্ত মহিলাকে দিয়ে মুচলেখা লিখিয়ে নিয়ে লাগাতার হুমকি দেওয়ায়ও অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ডহারবার পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে৷ ঘটনার জেরে এলাকায় তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা৷ যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর কাকলি বর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ স্থানীয় রাজারতালুকের বাসিন্দা কল্পনা বর তার প্রতিবন্ধী ছেলের খোঁজে পাড়ার কালী পুজোর মণ্ডপে যায়। ছেলেকে না পেয়ে বাড়ি ফিরে এসে মেয়ে পুজোকে সঙ্গে নিয়ে খেতে বসে। অভিযোগ, সেই সময় পাড়ার বেশ কিছু ছেলে নিয়ে কাকলি বর চড়াও হয় তার বাড়িতে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলে তাকে ও তার মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে স্থানীয় মন্দিরের কাছে নিয়ে গিয়ে অন্ধকারের মধ্যে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
কল্পনার আরও অভিযোগ, ওই নেত্রীর নেতৃত্বে সালিশি সভা বসিয়ে পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানাও করা হয়। কাকলি বর গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকিও দেয়। পাশাপাশি থানায় অভিযোগ জানালে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয় বলেও অভিযোগ। ওই রাতেই মা ও মেয়ে গ্রাম ছেড়ে কলকাতায় এক আত্মীয়ের বাড়ি আশ্রয় নেয়। ঘটনার চারদিন পর ওই নির্যাতিতা অভিযোগ জানায় ডায়মন্ডহারবার থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। বাড়িতে এখন স্বামী দীপক বর এবং প্রতিবন্ধী ছেলে পবিত্র বর রয়েছে। তাদেরকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। একপ্রকার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে গোটা পরিবার। যদিও এবিষয়ে পুলিশের কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর কাকলি বরও।