দেগঙ্গা: সরকারি প্রকল্পের প্রতি মানুষকে আরও ‘উৎসাহিত’ করে তুলতে একটি করে মাটির ভাঁড় এবং নগদ ৫০০টাকা করে তুলে দিলেন তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান৷ রীতিমতো ম্যারাপ বেঁধে মঞ্চ খাঁটিয়েই হল তৃণমূল নেতার টাকা বিলির অনুষ্ঠান! স্বাভাবিকভাবেই আগে থেকে দিকে দিকে রটে গিয়েছিল, ‘টাকা দেবেন তৃণমূল নেতা’৷ ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মহিলাদের উপচে পড়া ভিড়ের জেরে কার্যত লাটে উঠল করোনা বিধি৷
দেগঙ্গার চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনা একই সঙ্গে সামনে এনে হাজির করেছে একাধিক প্রশ্ন৷ প্রশ্ন উঠছে, কোনও তৃণমূল নেতা কি এভাবে প্রকাশ্যে টাকা বিলি করতে পারেন? এটা কতটা আইন সম্মত? যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরীর দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক প্রকল্প সম্পর্কে মানুষকে আরও উৎসাহিত করতে আমাদের এই সামান্য আয়োজন৷ আগামীদিনে সরকারিভাবে এলাকায় ক্যাম্প হবে৷ আমরা মানুষকে উৎসাহ দিতে আগাম তাঁর সূচনা করলাম৷’’
অতীতের আমপান ক্ষতিপূরণ বিলি থেকে শিক্ষা নিয়ে ইয়াস ঝড় পরবর্তী ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে বেনিয়ম ঠেকাতে দুয়ারে সরকার প্রকল্পকে সামনে রেখে সরকারি আধিকারিকদের ক্ষতিগ্রস্তদের দুয়ারে পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়৷ লক্ষ্মীর ভান্ডারের ক্ষেত্রেও বেনিয়ম ঠেকাতে সরকারি শিবির থেকে ফর্ম বিলি এবং সরকারি ভাবে ইউনিক নম্বর দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন৷ তারপরেও শাসকদলের একজন প্রধান কোন সাহসে এবং কি উদ্দেশ্যে এমন কাজ করতে পারেন তা নিয়ে বিবিধ প্রশ্ন উঠছে৷ প্রশ্নের মুখে আদর্শ করোনা বিধিও৷ যদিও এবিষয়ে পুলিশ বা প্রশাসনের কোনও কর্তার কাছেই নেই কোনও ‘খবর’৷