মমতার কোলে গণেশ বসিয়ে উদ্দাম নৃত্য তৃণমূল নেতার!

মমতার কোলে গণেশ বসিয়ে উদ্দাম নৃত্য তৃণমূল নেতার!

 

মালদা: মমতার কোলে গণেশ। গণেশ চতুর্থীতে খোদ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্গার প্রতিরূপ মূর্তি গড়ে তার কোলে গণেশ বসিয়ে প্রতিমা তৈরি করেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার জাগরন সংঘ ক্লাব। রয়েছে মণ্ডপ শয্যা ও প্রতিমা নির্মাণে অভিনবত্ব। আর তারই অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠানে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার তৃণমূলের সহ সভাপতি মমতার প্রতিকৃতির সামনে উদ্যাম নাচ। ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই ভিডিওষ আর এমন ঘটনায় চাঞ্চলা ছড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে যুব তৃণমুলের যুব সহ সভাপতির নাম মনোজ দাস। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাজকর্মে অনুপ্রাণিত হয়ে ক্লাব সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প জনসাধারনের সামনে তুলে ধরে সচেতন করার উদ্দেশ্যেই উদ্যোক্তাদের এই থিম, বলে জানান ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মী সমর্থকদের দ্বারা পরিচালিত হরিশ্চন্দ্রপুরের জাগরন সংঘ ক্লাবে এমনই একটি প্রতিমা দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে।

পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের বিগত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দশোভূজা দুর্গার মত রক্ষা করে চলেছে। একের পর এক জন-কল্যাণকর প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষদের সাহায্য করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর নেতৃত্বে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবী দুর্গার মতো তুলনা করে তার দশোভূজা মূর্তি বানানো হয়েছে এবং তার কোলে দুর্গার পুত্র গণেশকে বসিয়ে চলছে গণেশ চতুর্থীতে গণেশ বন্দনা। মণ্ডপে দেখা গেল দেবী দুর্গার প্রতিরূপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীল সাদা শাড়ি রুপে দশ হাতে কন্যাশ্রী, সবুজ সাথীর মত বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পের চিত্র হাতে নিয়ে দুই হাতে গনেশকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। প্রথমবারের এই পুজো উদ্বোধন করতে আসেন জেলা তৃণমূলের নেতারা।

মমতার কোলে গণেশ বসিয়ে উদ্দাম নৃত্য তৃণমূল নেতার!
বাঁ দিকে পুজোর মণ্ডপ, ডান দিকে উদ্দাম নৃত্যের মঞ্চ

অভিযোগ, গণেশ পূজো উপলক্ষে কোভিড বিধিকে উপেক্ষা করে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রবিবার সেই অনুষ্ঠানে তৃণমৃল সহ যুব সভাপতি মনোজ দাস উদ্যাম নাচে নাচ করেছেন৷ যার জেরে ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ সংস্কৃতি নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি বিজেপির। অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতারাও৷ জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, ‘‘উৎসবে আনন্দ করতে পারে, তবে পাবলিক ফিগার একটু সংযত হয়ে আনন্দ করা উচিত। কিন্তু তারমধ্যে শালীনতা রাখতে উচিত। তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। আগামী দিনে তিনি সচেতন থাকবেন বলে আশা করি।’’  বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, দেবীরুপী মমতা কখনও মেনে নেওয়া যায় না। ওরা সংস্কৃতির অপব্যবহার করছে। এই বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে আমরা আন্দোলনে নামব। অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 4 =