বোলপুর: চিনকে নিয়ে ‘দালালি’ করছেন নরেন্দ্র মোদি৷ নরেন্দ্র মোদি কুড়িবার চিনে গিয়েছে! এখনও পর্যন্ত কেন যুদ্ধ ঘোষণা করল না ভারত? এবার ভারতের বিদেশ নীতিকে কটাক্ষ করে ‘বিশেষজ্ঞ’ মত প্রকাশ করলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল৷
আজ সকালে লাদাখে শহীদ রাজেশ ওরাংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়৷ পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে শেষ বিদায় জানানো হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে তরফে৷ রাজেশকে চিরবিদায় জানাতে হাজির ছিলেন রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে প্রশাসনিক আধিকারিকরা৷ সেখানে শহিদ পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান অনুব্রত মণ্ডল৷
ভারতের বিদেশ নীতিকে বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্য, ‘‘আমরা দালালি করি না৷ তৃণমূল দল দালালি করে না৷ নরেন্দ্র মোদির বিজেপি দল দালালি করছে৷ আমরা দালালি করি না৷ কুড়িবার চিনে গিয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত যুদ্ধ আরম্ভ করল না ? পাল্টা জবাব নিল না? আবার বড় বড় কথা বলছে৷ একটা মিথ্যেবাদী প্রধানমন্ত্রী৷ সে বলে, সেনারা দেখবে? আমরা বোকা? সেনার ক্ষমতা আছে? ক্যাবিনেটে বৈঠক করতে হয়৷ প্রধানমন্ত্রী সই চাই৷ রাষ্ট্রপতির সই চাই৷ না হলে যুদ্ধ করা যায়? আমরা পাল্টা জবাব চাইছি৷ কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির জন্য এটা হয়েছে৷ কেন্দ্রের গাফিলতি রয়েছে৷
বীরভূমের মহাম্মদ বাজারে রাজেশ ওরাংয়ের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে এদিন অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘এই মেয়েটি যত দূর পড়াশোনা করবে, সম্পূর্ণ পার্টি দায়িত্ব নেবে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে৷ সঙ্গে একটা চাকরি৷ এই পরিবারের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস আছে৷ সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীও আছেন৷’’
ইন্দো-চিন সীমান্ত সংঘাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সর্বদল বৈঠকে ইতিমধ্যেই হাজির হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানে তিনি তাঁর মতামত রাখতে পারেন বলে সূত্রের খবর৷ জাতীয় স্তরে যখন সর্বদল বৈঠকের মাধ্যমে চিনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বৈঠক চলছে, ঠিক তখনই তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের এই মন্তব্য খুব একটা ভালো চোখে দেখছেন না পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ কেননা গোটা বিষয়টি যখন কেন্দ্রীয় সরকারের বিদেশ নীতির ওপর নির্ভর করছে কিংবা দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের উপর নির্ভর করছে, ঠিক তখন এভাবে আক্রমণের যুক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পর্যন্ত একাংশ৷