কলকাতা: দলগতভাবে এখনও প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণা করেনি তৃণমূল৷ পুরভোটের দিনক্ষণও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন৷ কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই আগে জগদ্ধাত্রী পুজোর অনুষ্ঠানে গিয়ে সরাসরি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে বসলেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা তথা কলকাতা পুরসভার পুর প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য অতীন ঘোষ।
পুজোর অনুষ্ঠানে গিয়ে বর্তান কাউন্সিলরকে ফের জয়যুক্ত করার জন্য বাসিন্দাদের কাছে আর্জি জানাতেও দেখা গেল তাঁকে৷ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ওই ভিডিও৷ যার জেরে বিতর্ক শুরু হয়েছে দাপুটে নেতার এহেন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে৷ দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে, এটা কি দলবিরোধী কার্যকলাপ নয়? দলগতভাবে প্রার্থী ঘোষণা করার তাহলে আর কি যৌক্তিকতা থাকতে পারে?
আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়া কর্পোরেশনের নির্বাচন৷ ঘটনার সূত্রপাত, কলকাতা পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত নুনগোলা অগ্রণী সংঙ্ঘের জগদ্ধাত্রী পুজোর অনুষ্ঠান৷ ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপিংসে অতীনবাবুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনারা গৌতমকে (হালদার) আগের দু’বারের মতো এবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত করুন৷’’ কেন একথা বলছেন, তাঁর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য৷ ‘‘সামগ্রিক উন্নয়ন নিয়ে ওর মাথায় একটা পরিকল্পনা আছে৷ আর এই এলাকার উন্নয়নের জন্য টাকার অভাব হবে না, আমি আপনাদের এবিষয়ে আশ্বস্ত করে যচ্ছি৷ আমার বিশ্বাস, আর এক মাস পরেই গৌতম তৃতীয়বারের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসবে৷’’
ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে অতীনবাবুর বক্তব্যের ওই ভিডিও ক্লিপিংস৷ যা নিয়ে দলের অন্দরেও উঠতে শুরু করেছে, এলাকায় গিয়ে কোনও নেতা কি এভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেন? তিনি এতটা নিশ্চিতই বা হলেন কি করে? নাকি স্রেফ অন্ধ আনুগত্যের বর্হিপ্রকাশ? টেলিফোনে বারংবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও অতীনবাবুর অবশ্য প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷ যদিও তাঁর ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, ‘‘ওটা ঘরোয়া আলোচনায় নিকটজনদের কাছে দাদা বলেছিলেন৷ সেটাকে নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরির চেষ্টা হচ্ছে৷’’