তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ভাঙড়

তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ভাঙড়

ভাঙড়: শনিবারের পর রবিবার৷ ফের তৃণমূল কংগ্রেস ও আইএসএফ সমর্থকদের সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রর চেহারা নিল ভাঙড়। সূত্রের খবর, ভাঙড়ের পদ্মপুকুরের একই মাঠে তৃণমূলের ফুটবল টুর্নামেন্ট ও আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকির সভা ঘিরে গোলমালের সূত্রপাত৷ যার জেরে পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের তীব্র বচসা বেধে যায়। শুরু হয় ব্যাপক ইটবৃষ্টি৷ পরিস্থিতি রীতিমত অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে৷

আব্বাস সিদ্দিকী বলেন, ‘‘আমরা যে এখানে ধর্মীয় অনুষ্ঠান জলসা ছিল করব, সেটা অনেক আগে থেকেই ঠিক ছিল৷ গোলমাল করার জন্যই পাশের মাঠে তৃণমূল ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে৷ আমরা সভাস্থলে যেতে গেলে তৃণমূল কিছু লোক ভাঙড় থানার কিছু পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আমার গাড়ি ভাঙচুর করে। আমাদের যেতে বাধা দেওয়া হয়৷ এরই প্রতিবাদে অনুরাগীরা রাস্তা অবরোধ করেছেন।’’ অন্যদিকে পুলিশের দাবি, বিনা অনুমতিতে আব্বাস সিদ্দিকী ধর্মীয় জলসা করতে যাচ্ছিলেন৷ সেবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আব্বাসের অনুগামীরাই প্রথমে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে৷

জলসাকে কেন্দ্র করে শনিবার সন্ধ্যায় তৃণমূল ও আহলে সুন্নাতুল জামাতের কর্মীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়ের বড়ালী মালঞ্চ এলাকা। অভিযোগ তৃণমূল কর্মীরা ওই এলাকায় আব্বাস অনুগামীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। আসাদুল মোল্লা নামে এক আহলে সুন্নাতুল জামাতের কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তখন থেকেই উত্তপ্ত হচ্ছিল এলাকার পরিবেশ৷

ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী৷ তাঁর দাবি, ‘‘ভাঙড় থানার একাংশ অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল নেতা কাইজারের নেতৃত্বে এলাকার আইএসএফ কর্মীদের ওপর এক তরফা হামলা হচ্ছে। শনিবারের পর আজও জোর করে আমাদের অনুষ্ঠান বাতিলের চেষ্টা করা হল৷’’ শাসকের চলতে থাকা এই অত্যাচার বন্ধ না হলে রাজ্যজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করার হুঁশিয়ারি দিয়ে নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘‘আইএসএফ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে৷ তাই শাসকের দালালেরা নিজেদের বাঁচাতে আবারও ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু করেছে৷ তবে মানুষের ধৈর্য্যর একটা সীমা আছে৷ পুলিশ এখনও সক্রিয় না হলে মানুষের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙতে বাধ্য হবে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *